বিচারকের সই জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ অক্টোবর

দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর সই জাল করার অভিযোগের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দা এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে এ দিন ধার্য করেন।
ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন আদালতের মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফুয়াদ উদ্দিন এবং একই শাখার কনস্টেবল আবু মুসা।
আরও পড়ুন: বিচারকের সই জাল করে পালিয়েছেন আদালতের দুই পুলিশ
আদালত সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স না থাকায় (ঢাকা মেট্রো-ল ২ ৫৫ ৮২২০ এবং ঢাকা মেট্রো- ল ৩৪ ০৯১৮) এই দুটি গাড়ির চালককে জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নন এফআইআর পৃথক দুটি মামলা আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর আদালত দুই চালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে পরোয়ানা ফেরতের কাগজে বিচারকের সই জাল করেন এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুসা। এ ঘটনা জানাজানি হলে তারা পালিয়ে যান।
এই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সোমবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সিএমএম আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশনার বরাবর লিখিত দেয় আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগ।
আরও পড়ুন: প্রতি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে ৭৯৭ টাকা ঘুষ নেয় পুলিশ
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আমরা স্যারের (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী) ১০ নম্বর আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকি। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে আদালতের মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন নন এফআইআর দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। পরে মামলা দুটির আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। পরে বিচারক জানতে পারেন যে, মামলা দুটির জব্দ করা আলামত এসআই ফুয়াদ ও মোটরযান শাখার জিআরও আবু মুসা অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সইয়ের জায়গায় নিজেরাই সই দিয়ে আসামিদের দেন।’
এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার নথিতে বিচারকের কোনো সই নাই, এবং কোনো জরিমানা করেন নাই। এরই মধ্যে বিচারক জানতে পারেন যে, ফুয়াদ উদ্দিন ও মো. আবু মুসা দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের সই জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন।
জেএ/জেডএইচ/এএসএম