জয়নুল আবেদীন

সরকারের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা চাইতে পারে খালেদা জিয়ার পরিবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৩
ফাইল ছবি

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না বলে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, খালেদা জিয়ার পরিবার চাইলে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা চাইতে পারে।

সোমবার (২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি। অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া এখন নির্বাহী আদেশের যে অবস্থায় আছেন, তাতে করে আদালতে যাওয়ারও সুযোগ নেই। আমরা সরকারকে বলেছি আপনারা আরও মানবিক হন। মানবিক হয়ে খালেদা জিয়ার জীবনকে বাঁচান।

এর আগে সবশেষ রোববার খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা চেয়ে করা পরিবারের আবেদন নাকচ করে দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির যে ক্ষমতা বলে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেই একই ক্ষমতা বলে তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে বর্তমানে যেভাবে আছে এটি থেকে সরে এলে অমানবিক হবে।

এর আগে ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে তাকে আদালতে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি অনুমতি দেন তাহলে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এজন্য তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে চান তারা- এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করি, পৃথিবীর কোন দেশ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে। পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদের (বিএনপি) যদি চাইতে হয় তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এখানে আদালতের কাজের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সবশেষ ১২ সেপ্টেম্বর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।