প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ইউএলএফের
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য আইনজীবীদের মোর্চায় গঠিত ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির কনভেনর ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নিতে নিতে, একপর্যায়ে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। যার প্রতিবেদন গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হয়। সুপ্রিম কোর্টের ৫২ বছরের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা এবং প্রবীণ আইনজীবীদের ভাষায় বিচার বিভাগের জন্য চরম বেদনার মুহূর্ত। শুধু তাই নয়, শপথ গ্রহণের দুদিনের মাথায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিতর্কিত পুলিশ অফিসার ডিবির হারুনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রধান বিচারপতির তলোয়ার গ্রহণের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের পর আইনজীবী সমাজ হতাশ এবং বিস্মিত হয়েছে।
আরও বলা হয়, আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শুরু করতে না করতেই সংবর্ধনা মেলা এবং নানাবিধ বক্তব্য প্রধান বিচারপতির মতো সর্বোচ্চ সাংবিধানিক বিচারিক পদকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন প্রসঙ্গে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির অ্যাডহক কমিটি বারের সদস্যদের পক্ষ থেকে ৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং পরবর্তীতে বারের সদস্যদের সঙ্গে শ্রদ্ধেয় বিচারকদের সৌজন্য সাক্ষাতের কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বার চত্বরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং আইনজীবী সমাবেশ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএলএফের কো-কনভেনর সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক মহসিন রশিদ, ইউএলএফের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ইউএলএফের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব, গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খান প্রমুখ।
২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি শপথ গ্রহণ করেন ২৬ সেপ্টেম্বর।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম