এক যুগ আগে দেবর খুন, ভাবির ১০ বছরের সাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

প্রায় এক যুগ আগে চট্টগ্রামে চার বছরের শিশু রাশেদুল সিকদার তামিম খুনের ঘটনায় ইয়াছমিন আক্তার নামে এক নারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে দণ্ডবিধির পৃথক ধারায় তাকে আরও দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সরওয়ার আলম এ রায় দেন। রায়ে বেবী আক্তার নামে চার্জভুক্ত অন্য এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছমিন নগরীর সাতকানিয়া থানাধীন দক্ষিণ কাঞ্চনা গ্রামের মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী। শিশু তামিম সম্পর্কে ইয়াসমিনের দেবর।

চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী রায়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে সাতকানিয়া থানায় এক শিশুকে হত্যার মামলায় ইয়াছমিন আক্তার নামে এক নারীকে ৩০২ ধারায় ১০ বছর এবং ২০১ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি ধারায় দণ্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় ইয়াসমিন আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য আয়েশা আক্তারের স্বামী প্রবাসী। তার তিন ছেলে। বড় ছেলে মেজবাহ উদ্দিন সাহেদ বিবাহিত। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আলাদা ঘরে বসবাস করতেন। অন্য দুই ছেলে তারেক এবং ছোট ছেলে চার বছর বয়সী রাশেদুল সিকদার তামিমকে নিয়ে আলাদা বসবাস করতেন আয়েশা। তবে ইউনিয়ন পরিষদের কাজে ঘর থেকে বের হলে তামিমকে বড় ছেলের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের কাছে রেখে যেতেন।

২০১২ সালের ৫ নভেম্বর বিকেলে তামিমকে ইয়াসমিন আক্তারের কাছে রেখে স্থানীয় ফুলতলা বাজারের একটি অনুষ্ঠানে যান আয়েশা। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঘরে ফিরে তামিমকে না দেখে পুত্রবধূ ইয়াসমিনকে জিজ্ঞেস করলে ইয়াসমিন তাকে দেখেননি বলে জানান।

এরপর দুদিন খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ৭ নভেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আয়েশা। ওইদিন বিকেলে ইয়াসমিনের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা তার ঘরে ঢুকে মাচার ওপর বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু তামিমের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। একপর্যায়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসমিন খুনের বিষয়টি স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৮ নভেম্বর আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত আসামি ইয়াসমিনসহ বেবী আক্তার নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়।

এমডিআইএইচ/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।