প্রধান বিচারপতি

ব্যক্তি কিংবা ব্যাংক নয়, দেশের স্বার্থই সব চেয়ে বড়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ১৬ মে ২০২৪
ফাইল ছবি

শেয়ার লেনদেন নিয়ে বিদেশি দুই কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ থাকা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের ওপর দুই সপ্তাহের জন্য স্টেটাসকো (স্থিতাবস্থা) দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ সময়ের মধ্যে আপাতত বন্ধ থাকবে শেয়ার লেনদেন। সঙ্গে সঙ্গে আগামী ৩০ মের মধ্যে লিভ টু আপিল দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ।

এসময় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আমাদের কাছে দেশের স্বার্থই সব থেকে বড়, ব্যক্তি বা ব্যাংক নয়। আমরা হাইকোর্টের রায় দেখেই আদেশ দেবো।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আট সদস্যের বিচারপতি আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এ দিন ইতালথাই কোম্পানির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন (অ্যাটর্নি জেনারেল), অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরসেদ (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল), ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক,ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল), আর চায়না এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান।

চায়না কোম্পানির আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে দুই সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। দুই সপ্তাহ পর সিপি (লিভ টু আপিল) হিসেবে মামলাটি আপিলের তালিকায় আসবে, পরবর্তী শুনানির জন্য।

এসময় পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ চলবে নাকি বন্ধ থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ব্যাংক বলে দিয়েছে তারা অর্থ দেবে না, কাজেই এখন তো কাজ বন্ধ রয়েছে।

ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আর্বিট্রেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত যদি এই স্টেটাসকো (স্থিতাবস্থা) বহাল থাকে, তাহলে এ ঋণের শর্ত অনুসারে আরও যে ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার কথা, সেটা ব্যাংক করবে না। এর ফলে প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মগবাজারের পরের কাজ অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়বে। এছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানের ডলারের যে অবস্থান তার মধ্যে এই ডলার আসলে দেশের জন্যই ভালো হতো।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এফডিইই কোম্পানি লিমিটেড নামের কোম্পানি গঠন করে ইতালথাই। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৪৯ শতাংশ শেয়ার চিনের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেয়। দুটি প্রতিষ্ঠান হলো-চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড। তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১,৩৪ ও ১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের যোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ঠিকাদারি তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলা দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত অবধি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি ব্যাংক। আর এতে করে শঙ্কায় এখন পুরো প্রকল্প।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।