কড়া রোদে রাস্তায় নামার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শরতের এই সময়টায় আকাশে নরম তুলার মতো মেঘ ভেসে বেড়ালেও রোদটা হয় খুব কড়া। একটু বেলা বেড়ে গেলেই পাঁচ মিনিটের রোদেও ত্বকে সানবার্ন হয়ে যায় অনেকের।

এই সময় শরীর শুধু ক্লান্ত হয় না, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন বা চামড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই সকাল বা দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় একটু বাড়তি প্রস্তুতি প্রয়োজন-

১. হালকা ও আরামদায়ক পোশাক

রোদে বের হওয়ার সময় যতটা সম্ভব হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। সুতির কাপড় সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে বাতাস চলাচল সহজ হয় এবং ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায়।

কড়া রোদে রাস্তায় নামার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন

২. সানস্ক্রিন লাগানো

রোদে যাওয়ার কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট আগে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। মুখ, হাত, ঘাড়—খোলা অংশগুলোতে লাগিয়ে নিন। এটি শুধু রোদে পোড়া রোধ করে না, ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা দেয়।

৩. ছাতা, ক্যাপ বা সানগ্লাস

সরাসরি রোদের তাপ কমাতে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করুন। চোখকে রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচাতে সানগ্লাস অবশ্যই কাজে দেবে।

৪. পানি ও তরল খাবার সঙ্গে রাখুন

কড়া রোদে শরীর থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে যায়। তাই সঙ্গে একটি পানির বোতল ও খাবার স্যালাইন রাখুন। চাইলে ফলের জুস বা ডাবের পানি খেতে পারেন, যা শরীরে দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে দেয়।

কড়া রোদে রাস্তায় নামার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন

৫. বাইরে বের হওয়ার আগে খাবার

খালি পেটে কখনোই রোদে বের হবেন না। হালকা খাবার, যেমন ফল, দই বা বাদাম খেয়ে বের হলে শরীর শক্তি ধরে রাখতে পারে।

৬. অতিরিক্ত ভার এড়িয়ে চলুন

গরমে ভারী ব্যাগ বা অনেকগুলো জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। শরীর যত হালকা থাকবে, ক্লান্তিও তত কম হবে।

কড়া রোদ এড়িয়ে চলা সব সময় সম্ভব নয়। তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে রোদ আর গরমকে সহ্য করা যায়। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সামান্য প্রস্তুতিই হতে পারে আপনার সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।

সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আমেরিকান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন, মায়ো ক্লিনিক

এএমপি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।