বৈশাখী আনন্দে ঘরেই মেতে উঠুক শিশু

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি বাড়ছে। দেশে মৃতের সংখ্যা এবং কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে শিশু-কিশোররা। একে তো স্কুল-কলেজ বন্ধ; তার ওপর বাইরে ঘুরতে যাওয়ার উপায় নেই। গতবছরের মতো এবারের পহেলা বৈশাখেও ছোট্ট সোনামণিরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। তাহলে উপায়?

মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই। যেহেতু বাইরে যাওয়া মানা; তাই শিশুর মুখে হাসি ফুটাতে ঘরেই শিশুর বৈশাখ বরণের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব বড়দের। বৈশাখ মানেই শিশুর নতুন কাপড়। তাই অনলাইন থেকেই কিনে ফেলুন শিশুর পছন্দসই পোশাকটি।

cover-(1).jpg

রঙিন পোশাক বেশি পছন্দ করে শিশুরা। এজন্য তাদের লাল, কমলাসহ বিভিন্ন রঙের পোশাক পরাতে পারেন নববর্ষের প্রথম দিন। লাল-সাদা এমনকি মাল্টি-কালারের পোশাকও পরাতে পারেন। এক্ষেত্রে কাপড়ের গুণগত মান অবশ্যই জেনে তারপর কিনবেন। যেহেতু গরম, তাই এ সময় শিশুর জন্য আরামদায়ক পোশাকের ব্যবস্থা করুন।

ছোট্ট কন্যার জন্য শাড়ি, টপস, স্কার্ট, ফ্রগ, গাউন বা ফতুয়া নিতে পারেন। বেশি গর্জিয়াস পোশাক পরাবেন না। এতে শিশুরা অস্বস্তিবোধ করতে পারে। শাড়ি পরালে শিশুর মাথায় গাদা ফুলের মালা জড়িয়ে দিতে পারেন।

এ ছাড়াও ফ্লাওয়ার ব্যান্ড থাকলে সেটি পরিয়ে দিলেও দেখতে সুন্দর লাগবে। একটি টিপ পরাতে পারেন। চোখে মোটা করে কাজল ও ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিলেই বৈশাখী সাজে অনবদ্য লাগবে শিশুকে।

cover-(1).jpg

ছেলে শিশুকে পরাতে পারেন টি-শার্ট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি। পোশাকের কাপড় যেন আরামদায়ক হয়। আর অবশ্যই হালকা রঙের পোশাক পরানোর চেষ্টা করবেন। এতে শিশুর কম গরম লাগবে। যেহেতু ঘরেই থাকবে শিশু, তাই নতুন পোশাক পরে শিশুকে তার মতই আনন্দ-উল্লাস করতে দিন।

বর্তমানে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং মাস্কেরও কদর বেড়েছে। শিশুর পোশাকের সঙ্গেও ম্যাচিং মাস্ক পরাতে পারেন। এতে শিশু সুরক্ষিত থাকবে, দেখতেও সুন্দর লাগবে।

শিশুর আনন্দ বাড়াতে ঘরে বেলুন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখতে পারেন। শিশুর ঘরটি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। চাইলে ঘরের একটি অংশ সুন্দর সাজিয়ে ফটো কর্নার তৈরি করতে পারেন। সেখানেই শিশুর বাহারি ছবি তুলুন।

cover-(1).jpg

বৈশাখ মানেই বাঙালি খাবারের ছাপ থাকবে সবার রান্নাঘরেই। তাই বিশেষ খাবারের সঙ্গে ছোট্ট সোনার প্রিয় খাবার তৈরির ব্যবস্থা করুন। সারাদিন শিশুকে সময় দিন। তার সঙ্গে গল্প করুন এবং আড্ডা দিন।

বর্তমানে কর্মজীবী বাবা-মায়েরা শিশুর সঙ্গে গল্প করার সময় পান না। এতে শিশুরা একাকিত্ব বোধ করে এবং কারো সঙ্গে মেলামেশাও করতে চায় না। এজন্য ছুটির দিনগুলোয় শিশুকে সময় দিন। সব ধরনের গ্যাজেট থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।

জেএমএস/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।