ভালোবাসা নাকি টাকা কোনটির মূল্য বেশি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

ভালোবাসা নাকি অর্থের গুরুত্ব বেশি, এ যুক্তি একেকজন ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, জীবনে সুখী হতে অর্থ ও ভালোবাসা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।

১২০০ প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় মার্কিন এক ব্যক্তিগত আর্থিক সফটওয়্যার কোম্পানি কুইকেন। মানুষের কাছে অর্থ নাকি ভালোবাসার মূল্য বেশি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সমীক্ষা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর যে কাজে রেগে যান স্বামীরা

এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়ায় তারা ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গেও সুখী আছেন।

অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষই জানিয়েছেন, দাম্পত্য জীবন সুখের করতে অর্থনৈতিক অবস্থাও উন্নত হওয়া জরুরি।

অন্যদিকে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ জানান, তাদের কাছে অর্থের চেয়ে ভালোবাসার মূল্য বেশি।

শতকরা ৭৫ জনের মত, অর্থের লেনদেন করা ভালোবাসার তুলনায় অনেক বেশি কঠিন। আর শতকরা ৩৭ জন মানুষের মতে, সুখী হতে তারা সবকিছু ত্যাগও করতে পারেন।

আরও পড়ুন: সিঙ্গেলরাই শারীরিকভাবে বেশি সুস্থ থাকেন: গবেষণা

তবে এই সমীক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মতামত হলো, ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে ও সংসারে সুখ আনতে পর্যাপ্ত অর্থের যোগান থাকা জরুরি। মুখে ভালোবাসার কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে কিন্তু টাকাও বেশ গুরুত্ব পায় মানুষের কাছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল এডুকেটরস কাউন্সিলের একটি সমীক্ষা অনুসারে, মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ তাদের সঙ্গীর সঙ্গে অর্থ নিয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

আরও পড়ুন: সাদা পোশাক পরা পুরুষেই বেশি আকৃষ্ট হন নারীরা: গবেষণা

নারীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ ও পুরুষদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ বলেছেন, সংসারে সম্পূর্ণ টাকা দিতে মোটেই ভালো লাগে না তাদের। সঙ্গী অর্থের জন্য ভালোবাসুক এটি চান না ৮৩ শতাংশ নারী ও ৬৭ শতাংশ পুরুষ।

অন্যদিকে ৫০ শতাংশ নারী ও ৪০ শতাংশ পুরুষরা ভাবেন, তাদের সংসার চালানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট একজন থাকুক। এমনকি ৬০ শতাংশ অংমগ্রহণকারী জানান, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সঙ্গীই তাদের প্রথম পছন্দ।

সূত্র: ভ্যালু পেঙ্গুইন

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।