টয়লেট ব্যবহারের যে ভুলে পুরুষরা কঠিন রোগে আক্রান্ত হন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

টয়লেট ব্যবহারের ভুলেও কিন্তু হতে পারে একাধিক রোগ। ঠিক যেমন প্রস্রাবের সময় এক ভুলে পুরুষরা কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

আসলে নারীরা যখন টয়লেট ব্যবহার করেন, তখন তারা কমোডে বা লো প্যানে বসেন। তবে বেশিরভাগ পুরুষরাই প্রস্রাবের সময় চটজলদি দাঁড়িয়েই সেরে নেন প্রাকৃতিক কর্মটি।

আরও পড়ুন: নারীরা যে ধরনের পুরুষের প্রেমে বেশি পড়েন

আর এই অভ্যাসের কারণেই কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে পুরুষের মধ্যে। এমনটিই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের ভুলভাবে টয়লেট ব্যবহারের কারণে তাদের মূত্রাশয়ের হতে পারে এমনকি স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের আলেকজান্দ্রা হাসপাতালের ডা. জেরাল্ড কলিন্সের দাবি, নারীদের মতো পুরুষদেরও বসে প্রস্রাব করা উচিত। এটি মূত্রাশয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

আরও পড়ুন: ধূমপান কি সত্যিই পুরুষের বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনে?

পুরুষদের প্রস্রাব নিয়ে ইউগভ. এর একটি প্রতিবেদনের পর বিশেষজ্ঞ এই দাবি করেছেন। যা ১৩টি দেশের ৭ হাজার পুরুষের ওপর জরিপ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ পুরুষই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে স্বাচ্ছন্দ্য করেন।

jagonews24

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৫ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান প্রতিবার প্রস্রাব করতে বসেন, তবে ২৭ শতাংশ পুরুষ ব্যস্ততার মাঝে প্রস্রাবের সময় ‘কখনো বসেন না’।

ডা. কলিন্সের মতে, ‘সমীক্ষায় শুধু জার্মানির পুরুষদের মাঝেই দেখা গেছে সেখানকার ৪০ শতাংশ পুরুষ প্রস্রাব করার সময় ‘সর্বদা’ বসেন।

অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে কম পুরুষরা বসে প্রস্রাব করেন। সেখানকার ৯৫ শতাংশ মানুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

আরও পড়ুন: যে কারণে পুরুষের কিডনিতে পাথর বেশি জমে

টেলিগ্রাফে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. কলিন্স দাবি করেন, ‘বসে প্রস্রাব করলে পেলভিক পেশী ও মেরুদন্ড সম্পূর্ণ শিথিল হয়, যা প্রস্রাবেগ ঠিক রাখে।

এই বিশেষজ্ঞ আরও জানান, বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রস্রাবের জন্য বসে থাকা উপকারী, তবে ইউগভ. সমীক্ষায় দেখা গেছে, বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে কম বয়স্কদের তুলনায় বসে প্রসাবের প্রবণতা কম।

সূত্র: মিরর/টেলিগ্রাম

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।