পেটের অস্বস্তি দূর করতে খাবারের পর খান এই ৫ জিনিস

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে, ছুটির দিনে বা অতিথি আপ্যায়নে ভারী খাবার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে পরবর্তীতে পেট ভারী হয়ে অস্বস্তি অনুভব করাটাও একদম স্বাভাবিক। এ সময় শরীর চায় হালকা অনুভূতি, প্রয়োজন হয় দ্রুত হজমের সহায়তা। সৌভাগ্যবশত কিছু সহজলভ্য খাবার রয়েছে, যা খেলে হজম প্রক্রিয়া মসৃণ হয় এবং শরীরে প্রশান্তি ফিরে আসে। আসুন দেখে নিই কী কী খাবার আপনার সহায়ক হতে পারে—

আদা
প্রাচীনকাল থেকেই হজমের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধের মতো ব্যবহৃত হয়ে আসছে আদা। এটি পাকস্থলীতে গ্যাসের চাপ কমায়, বমি ভাব দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়ার গতি বাড়ায়। আদায় থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। চাইলে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন, অথবা কাঁচা আদার টুকরো চিবিয়ে নিতে পারেন। আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণও পেটের অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে।

আনারস
মিষ্টি স্বাদের আনারস শুধু স্বাদেই নয়, হজম শক্তিতে ভরপুর। এতে থাকা ব্রোমেলেন নামের বিশেষ এনজাইম খাবারে থাকা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, ফলে ভারী খাবারের পর দ্রুত হালকা অনুভূতি পাওয়া যায়। খাওয়ার পর কয়েক টুকরা টাটকা আনারস খেলে পেট থাকবে হালকা, মনও থাকবে ফুরফুরে।

পুদিনা
শুধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে নয়, পুদিনা পেটেরও ভালো বন্ধু। এটি অন্ত্রের পেশীগুলোকে শিথিল করে, গ্যাসের সমস্যা কমায় এবং বদহজমের কষ্ট দূর করতে সাহায্য করে। ভারী খাবারের পরে এক কাপ পুদিনা চা পান করুন কিংবা কয়েকটি তাজা পাতা চিবিয়ে নিন, পেটের অস্বস্তি দূর হবে সহজেই।

পেঁপে
পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সহায়তা করে, ফলে ভারী খাবার দ্রুত হজম হয়। মাংসজাতীয় খাবারের পরে কয়েক টুকরা পেঁপে খেলে পেটের চাপ কমে এবং অন্ত্রের কাজ সহজ হয়। এটি হজম ব্যবস্থাকে প্রাকৃতিকভাবে সক্রিয় রাখে।

টক দই
টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ভারী খাবারের পরে এক বাটি টক দই খেলে হজমে সহায়তা হয় এবং শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় থাকে। পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি অনুভব করলে ঠান্ডা দই হতে পারে আপনার সহজ সমাধান।

জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।