অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার ফুলকপি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

ফুলকপি শুধু এক ধরনের সাদামাটা শাকসবজি বলে মনে হলেও, এটি পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য এক অমূল্য ধন। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ফুলকপি অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকে এবং শরীরচর্চায় সহায়ক হয়। চলুন জেনে নেই ফুলকপিতে লুকিয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ: ফুলকপি ভিটামিন সি, কে, বি৬, এবং ফোলেটের ভালো উৎস। ভিটামিন সি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। ভিটামিন কে হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। এছাড়া, ফুলকপিতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা হার্ট ও হাড়কে শক্তিশালী রাখে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার ফুলকপি

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার: ফুলকপিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন- গ্লুকোসিনোলেট ও কারটেনয়েড। এগুলো শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেল ধ্বংস করে কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ফুলকপি খেলে বয়সজনিত রোগ এবং কিছু ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

হজমশক্তি বাড়ায়: ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। এই ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। হজমের সমস্যা যাদের থাকে, তাদের জন্য ফুলকপি হতে পারে আদর্শ খাদ্য।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার ফুলকপি

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ফুলকপি ক্যালরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় পরিপূর্ণতার অনুভূতি দেয়, যা অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতা কমায়।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে ফুলকপি বিশেষ কার্যকর। এতে শর্করার স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায় না, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার ফুলকপি

হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক: ফুলকপির মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এটি রক্তনালীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

জেএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।