লাউয়ে মিশে যাওয়া পাঙাশের মাথার অনন্য স্বাদ
শীতকালের সহজলভ্য সবজি লাউ। দেখতে সুন্দর এই সবজিটি বিভিন্নভাবে রান্না করে থাকেন গৃহিনীরা। তবে জানেনকি পাঙাশের মাথা দিয়ে লাউ রান্না হলে এর স্বাদ দি্বগুন হয়ে যায়। খুব বেশি মসলা নয়, আবার অতিরিক্ত ঝামেলাও নেই, দিনের পর দিন বাঙালি রান্নাঘরে চলে আসা এই প্রচলিত ঝোলটি সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়। অল্প উপকরণে তৈরি হলেও স্বাদের দিক থেকে কিন্তু একেবারে পূর্ণতা দেয় এই রেসিপি। চাইলে দৈনন্দিন মেনুতেও সহজে যোগ করা যায় লাউ দিয়ে পাঙাশের মাথার এই হালকা, সুস্বাদু খাবারটি। রইলো রেসিপি-
উপকরণ
- পাঙাশ মাছের মাথা ১টি
- পেঁয়াজকুচি আধা কাপ
- হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ
- মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ
- কাঁচা মরিচ ৪-৫টি
- আদা বাটা আধা চা-চামচ
- রসুন বাটা আধা চা-চামচ
- সয়াবিন তেল ৩ টেবিল চামচ
- লবণ স্বাদমতো
- চিনি আধা চা-চামচ
- টমেটো ১টি (৪ টুকরা)
- কাঁচা মরিচকুচি ১ টেবিল চামচ
- লাউ মাঝারি সাইজের একটি (ধুয়ে পাতলা ডুমো করে কাটা)
আরও পড়ুন:
যেভাবে রান্না করবেন
একটি প্যানে তেল গরম করুন। তেল যথেষ্ট গরম হলে পেঁয়াজকুচি দিয়ে সোনালি রং না আসা পর্যন্ত ভাজুন। এরপর আদা-রসুন বাটা, হলুদ ও মরিচগুঁড়া দিয়ে মসলাটা ভালো করে কষিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে সামান্য লবণ ও অল্প পানি দিয়ে মসলা কষা বাড়িয়ে নিন।
পাঙাশের মাথা আগে সামান্য লবণ মেখে ধুয়ে নিন। এরপর লবণ ও সামান্য হলুদ মাখিয়ে গরম তেলে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। মসলাটা ভালোভাবে কষা হয়ে এলে ভাজা মাছের মাথা দিয়ে কয়েক মিনিট নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন। এরপর মাথা তুলে আলাদা রাখুন।
এবার সেই মসলার মধ্যেই কাটা লাউ দিন। ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিন। ১ কাপ পানি ঢেলে লাউ নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। লাউ সেদ্ধ হলে মাছের মাথা ও টমেটোর টুকরা দিয়ে আবার নেড়ে দিন। লাউ ঠিকমতো না সেদ্ধ হলে অল্প পানি যোগ করতে পারেন। শেষে চিনি, ধনেপাতার কুচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট আঁচে রেখে চুলা বন্ধ করুন। গরম ভাতের সঙ্গে অসাধারণ লাগে এই লাউ-পাঙাশের মজাদার তরকারি।
জেএস/