কেমন যাবে নতুন বছর
শঙ্কা-বিধিনিষেধ পেরিয়ে নতুন উত্থান দেখবে পর্যটন শিল্প
২০২৬ সালে নতুন উত্থান দেখবে বৈশ্বিক পর্যটন শিল্প/ ফাইল ছবি: পেক্সেলস
নতুন বছরে বৈশ্বিক পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের উত্থান দেখা যাবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। ভ্রমণ বিধিনিষেধ, কার্বন নিঃসরণ কমানোর চাপ, অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়ের শঙ্কাগুলো উড়িয়ে ২০২৬ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটন নতুন গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় ২০০ কোটি পর্যটক ভ্রমণ করবেন এবং তাদের ব্যয় পৌঁছাতে পারে প্রায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৮০ হাজার কোটি) ডলারে। এই পর্যটকদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসবেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ভারত থেকেও বিদেশগামী পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
২০২৬ সালে বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম বড় কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে চীন। নতুন লেগোল্যান্ড থিম পার্ক, কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা এবং অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের অংশ বাড়তে পারে প্রায় আট শতাংশ।
আরও পড়ুন>>
খ্যাতির বিড়ম্বনায় ইন্দোনেশিয়া, পর্যটকের চাপে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বালি
পর্যটন মৌসুমে ভয়াবহ বন্যা, চ্যালেঞ্জের মুখে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি
ভূমিকম্পে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশে যেতে ভিসা লাগে না বাংলাদেশিদের
বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটক বৃদ্ধির হার তুলনামূলক কম থাকবে—মাত্র দুই শতাংশের মতো। কড়া সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ ব্যয় এর অন্যতম কারণ হলেও উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপ পর্যটকদের একটি বড় অংশকে আকর্ষণ করতে পারে।
ইউরোপ বরাবরের মতোই জনপ্রিয় গন্তব্য থাকবে। তবে অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে ইউরোপীয় দেশগুলো বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ও ভিসামুক্ত ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন অনুমোদন পদ্ধতি চালু করবে। এর মাধ্যমে পর্যটন ব্যবস্থাপনাকে আরও নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদ করার চেষ্টা থাকবে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধির নতুন কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। পাশাপাশি, কিছু তুলনামূলক অপ্রত্যাশিত গন্তব্যও আলোচনায় আসবে। রাশিয়া ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরও কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশের উদ্যোগ নিচ্ছে। সৌদি আরব আশা করছে, বিলাসবহুল পর্যটন প্রকল্প ‘আমালা’ চালু হলে দেশটিতে আন্তর্জাতিক আগমনে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটবে।
নৌভ্রমণে উত্থানের বছর
২০২৬ সালে অন্তত ১৬টি নতুন ক্রুজ জাহাজ সমুদ্রে নামবে। নরওয়ে ও কানাডায় নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ এবং বার্সেলোনা ও কান-এর মতো ইউরোপীয় বন্দরে পর্যটক সীমা থাকা সত্ত্বেও এই খাতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোও কার্বন নিঃসরণ কমানোর বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার আগে শেষবারের মতো স্বেচ্ছামূলক লক্ষ্য নিয়ে চলবে। এরই মধ্যে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নতুন রুট চালুর ঘোষণাও আসছে।
নতুন বছরে বিশেষ নজরে থাকবে পরিবেশবান্ধব ক্রুজ শিল্প। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে নৌপরিবহনের অবদান প্রায় দুই শতাংশে স্থির থাকলেও ২০২৬ সালে প্রথম হাইড্রোজেনচালিত ক্রুজ জাহাজ ‘ভাইকিং লিব্রা’ যাত্রা শুরু করবে। জ্বালানি সেলচালিত এই জাহাজের একমাত্র বর্জ্য হবে জলীয় বাষ্প, যা সমুদ্রে নিরাপদভাবেই নিঃসৃত হতে পারে।
সব মিলিয়ে, নানা সীমাবদ্ধতা ও উদ্বেগ সত্ত্বেও ২০২৬ সালকে পর্যটন শিল্পের জন্য নতুন গতি ও আত্মবিশ্বাসের বছর হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
কেএএ/
টাইমলাইন
- ০৪:০৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ শঙ্কা-বিধিনিষেধ পেরিয়ে নতুন উত্থান দেখবে পর্যটন শিল্প
- ০৫:৩৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিশ্বজুড়ে পানিবণ্টন নিয়ে উত্তেজনা, নজর থাকবে বাংলাদেশ-ভারতে
- ১২:৩৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিশ্ববাজারে আরও কমবে চালের দাম, ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যে কঠোর ব্যবস্থা
- ০৪:১৪ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ট্রাম্পের অভিবাসী ফেরত অভিযান আরও জোরালো হবে?
- ০৫:৪৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ মধ্যপ্রাচ্যে ভালো-মন্দের মাঝে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
- ১২:৪৭ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০২৬ সালেই এআই’র আসল প্রভাব দেখতে পাবে বিশ্ব
- ০৫:৪৭ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০২৬ সালে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে যে ১০ বিষয়
- ০৪:৪৬ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চয়তায় এশীয় দেশগুলোকে আরও কাছে টানবে চীন