প্রজনন স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সংবেদনশীল চ্যালেঞ্জ নিয়ে কর্মশালা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীতে দ্রুত নগরায়ন ও পরিবেশগত চাপ বেড়েই চলেছে। তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিক্যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এসব প্রেক্ষাপটে সিরাক-বাংলাদেশ ঢাকায় দিনব্যাপী যুব কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তিক ও বিপন্ন এলাকায় বসবাসরত ৩০ জন তরুণ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। তারা জানান, দূরত্ব, যানজট, স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সীমিত জ্ঞানের পাশাপাশি দারিদ্র্য ও নগরায়নের কারণে প্রয়োজনীয় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে তারা অনেক সময় বাধার সম্মুখীন হন।

সুইডিশ উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা সিডার অর্থায়ন এবং ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের সহায়তায় সিরাক-বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে। মূল উদ্দেশ্য ছিল নগরাঞ্চলের যুবদের অভিজ্ঞতা নীতিনির্ধারণে প্রতিফলিত করা এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নের জন্য সুপারিশ সংগ্রহ করা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিরাক-বাংলাদেশের উপপরিচালক (প্রোগ্রাম) মো. সেলিম মিয়া। প্রকল্পের ওভারভিউ শেয়ার করেন প্রোগ্রাম লীড শাহিনা ইয়াসমিন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপপরিচালক মো. আব্দুল বাতেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সরকার ফারহানা কবীর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা উপপরিচালক নাজনীন আখতার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক জেসমিন আক্তার।

আরও পড়ুন
শিশু ও তরুণদের জন্য ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচলে চতুর্থ আর্ট কার্নিভাল
জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে চান রংপুর পলিটেকনিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল বাতেন বলেন, ‌‘তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে কোনো ধরনের বাধা থাকা উচিত নয়। যারা সেবা গ্রহণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে পৌঁছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সর্বোচ্চ সম্ভব সহায়তা প্রদান করবো এবং তরুণদের মতামতকে ভিত্তি করে নীতি প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।’

কর্মশালায় তরুণরা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্র ও দলীয় আলোচনার মাধ্যমে মতামত প্রদান করেন। বিশেষজ্ঞরা সেই অভিজ্ঞতা থেকে প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশের ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন কো-অর্ডিনেটর মো. ওমর ফারুক খান, অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট মিজানুর রহমান আকন্দ, ইনোভেশন অ্যান্ড ইয়ুথ স্পেশালিস্ট মো. নাজমুল হাসান, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার রুহিয়াত তাসনিম, কমিউনিকেশন অফিসার এনামুল হক রনি এবং ইন্টার্ন আনিকা তাবাসসুম।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।