গৃহায়ন উপদেষ্টা

স্বল্প আয়ের মানুষকে লটারির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার উদ্যোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫
বুয়েটে আয়োজিত আলোচনা সভায় কথা বলছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে রাজউক থেকে লটারির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

শনিবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগ আয়োজিত ‘ঢাকায় নিম্নবিত্তের সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন’ শীর্ষক এক বিশেষ ডিজাইন-গবেষণা উপস্থাপনা ও আলোচনায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে মানুষকে ঢাকাকেন্দ্রিক করে ফেলা হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলোর ভালো সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। ফলে মানুষ কাজের জন্য ঢাকা এলেও, কাজ সেরে ফিরে যেতে পারছেন না। বুয়েটের আজকের এ উপস্থাপনা ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উপদেষ্টা বলেন, রাজউক ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এখন প্লট বরাদ্দ করছে না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর প্লট ও ফ্ল্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বাতিল করেছে সরকার। স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে রাজউক থেকে লটারির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কৃষিজমি সুরক্ষার জন্য আইন তৈরি করা হচ্ছে।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিজাইন-গবেষণা উপস্থাপনা ও আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ঢাকার আবাসিক এলাকা বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হচ্ছে। ঢাকার পাশে ফ্লাড ফ্লো জোন ও কৃষিজমিতে আবাসিক এলাকা গড়ে উঠছে, যা বন্ধ হওয়ার দরকার।

অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন নিয়ে এ আলোচনায় স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. ক্যাথরিন ডেইজি গোমেজ তার স্বাগত বক্তব্যে শহরে ক্রমবর্ধমান ঘনত্ব ও আয়বৈষম্যের প্রেক্ষাপটে অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যেখানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ড. শায়ের গফুর। তিনি ঢাকার নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সম্ভাব্য আবাসন মডেল এবং বাস্তবধর্মী ডিজাইন নীতিমালা উপস্থাপন করেন।

স্থাপত্য বিভাগের ২০১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টঙ্গী ও শ্যামপুর এলাকাভিত্তিক দুটি সাইটের ওপর আবাসনের জন্য গবেষণাভিত্তিক ডিজাইন ও সুপারিশ উপস্থাপন করে। আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসনের জন্য নগর পরিকল্পনা, স্থাপত্য ও নীতি প্রণয়নের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরএমএম/এএমএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।