প্রশ্ন সমন্বয়ক হাসিবের

১৮ জুলাই রাতের স্মৃতিচারণ করলে সারজিস ক্ষেপে যান কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাতের স্মৃতিচারণ করতে গেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম কেন ক্ষেপে যান? এমন প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম। রোববার (২৭ জুলাই) হাসিবুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এমন প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

সারজিস আলমকে উদ্দেশ্য করে হাসিব বলেন, শোনেন সারজিস, ১৮ জুলাইয়ের রাত আমার রাজনৈতিক জীবনের কলঙ্কিত অধ্যায়। স্রেফ মৃত্যুর ভয়ে আওয়ামী তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি লজ্জিত ও অনুতপ্ত। আপনি অনুতপ্ত না-ই হতে পারেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওই কম্প্রোমাইজের অনুশোচনায় বহু রাত আমার নির্ঘুম পার করতে হয়।

অন্য আরেকটি পোস্টে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এই নেতা বলেন, গত বছর ১৮ জুলাই রাতে আমাকে তুলে নিয়ে শিবির, রাষ্ট্রদ্রোহী ট্যাগিং করে বন্দুকের নলের ডগায় রেখে তিন আওয়ামী মন্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক সাক্ষাৎ করায় একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে সারজিস আলমও ছিলেন, তিনি হয়তো ভুলে গেছেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনের পিক মোমেন্টে ছয় সমন্বয়ক যখন ডিবিতে তখনও তারা (ওই সংস্থা) আমাকে নিয়ে আন্দোলনের সহিংসতার দায় জামায়াত-বিএনপির ওপর চাপিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ভিডিও বানানোর জন্য ত্রমাগত চাপ দিতে থাকেন। পরে তুলে নিয়ে গান পয়েন্টে রেখে জোরপূর্বক ফেসবুক পোস্ট করায়। আমার রাজনৈতিক অবস্থান সব সময় দিল্লির আধিপত্যবাদ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও বিচারবহির্ভূত গুম-খুনের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু আমার রাজনৈতিক জীবনকে কলঙ্কিত করেছে এই সংস্থা। সেদিন তাদের গুলিতে শহীদ হয়ে গেলে আমাকে দিয়ে করানো বেইমানির জন্য আমার হয়তো রাতের পর রাত জেগে আফসোস হতো না।

হাসিব বলেন, ওই সংস্থা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে শতশত মানুষকে বিচারবহির্ভূত গুম ও খুন করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানজুড়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছিল বাহিনীর হাইকমান্ড। পরে বিদ্রোহের ভয়ে আওয়ামী লীগকে সেফ এক্সিট দেয় ওই বাহিনী।

এমএইচএ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।