ঢাবি-জবির ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর-ছুরিকাঘাত

মাঠে বসে ছিলেন বন্ধুরা, উঠে যেতে বলেই চালানো হয় অতর্কিত হামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১০ এএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫
মোহাম্মদপুর থানা/ফাইল ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চার শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকের এ ঘটনায় রোববার (৩ আগস্ট) মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাজিদ-উল-ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সফিউদ্দিন গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনী দেখে আইন বিভাগের তাসমিয়া তাবাসসুম নেবুলাসহ তিনি দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে লালমাটিয়া ডি-ব্লকের মাঠে যান।

সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অনুরাভ আশরাফ রাজ্য ও চারুকলার শিক্ষার্থী রাফিদুল হক রাহিমের সঙ্গে দেখা হয়। তারা বসে থাকা অবস্থায় ১০-১২ জন কিশোর এসে তাদের এক বন্ধুর ব্যাগ ছুড়ে মারার পাশাপাশি ওখান থেকে উঠে যেতে বলে।

প্রতিবাদ করলে তারা নিজেদের এলাকার প্রভাব দেখিয়ে হুমকি দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর ও একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই কিশোররা।

সাজিদ-উল-ইসলাম আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই কয়েকজন এসে আমাদের একজনের বসার জায়গায় রাখা ব্যাগটা ফেলে দেয়। তখন আমি জিজ্ঞেস করি ব্যাগটা কেন ফেলে দিলেন?

তিনি বলেন, ওরা বলতে থাকে উঠে যেতে। আমরা তখন বলি আমরা উঠে যেতেই পারি, কিন্তু আপনারাতো এভাবে বলতে পারেন না। এরপরই তারা আমাদের অতর্কিতভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে, এক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে।

মঙ্গলবারের ঘটনায় রোববার মামলা করার বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।

সাজিদের করা মামলায় ১২ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় নাম থাকা ১২ জন হলেন- এস কে আবির, মিমোন খান, সিয়াম, মিনহাজ, শুকুর, সাজ্জাদ, একরামুল, সুজন, বায়েজিদ, সুমন, হৃদয় ও ইয়াছিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আবিরের নির্দেশে বাকিরা সাজিদকে মারধর করে। মিমোন খানসহ ইয়াছিন, সুমন, সুজন তাকে মারধর করে। অনুরাভ আশরাফ রাজ্য এগিয়ে গেলে আবির তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তার পিঠের ডান পাশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

অন্য কিশোররা বাকি দুই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। কী কারণে তারা হামলা করেছিল তদন্তের পর নিশ্চিত হতে পারবো। ঘটনাটি তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। আসামি গ্রেফতারে এরই মধ্যে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

টিটি/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।