বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর ধানমন্ডির দৃক পাঠভবনে মানবাধিকার সংস্থা সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের সংবাদ সম্মেলন/ ছবি: জাগো নিউজ

বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতা, দমনমূলক আইনের ব্যবহার ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে শ্লথগতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মানবাধিকার সংস্থা সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)।

সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর শেষে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির দৃক পাঠভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগ জানায়।

২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সফরে থাকা প্রতিনিধি দলে ছিলেন এসএএইচআরের সহ-সভাপতি রোশমি গোস্বামী, মানবাধিকারকর্মী সরুপ ইজাজ ও নির্বাহী পরিচালক দীক্ষ্যা ইল্লাঙ্গাসিংহে। তারা সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা, সংস্কার কমিশনের সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের তরুণেরা সাহস ও উদ্যম নিয়ে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিলেও বর্তমানে আইনশৃঙ্খলার দৃশ্যমান অবনতি ও নিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগজনক। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সতর্ক করেন যে, স্বাধীনতার অপব্যবহার, উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার ঝুঁকি রয়ে গেছে।

তারা বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। এছাড়া গুমের শিকার পরিবারগুলোকে ন্যায়বিচার দিতে হবে। দমনমূলক আইন বাতিল করা প্রয়োজন এবং সংখ্যালঘু, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

এসএএইচআর মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিক-মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানিকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে। সংস্থাটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশনকে কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানায়।

প্রতিনিধি দলটি মনে করে, নাগরিক সমাজের বিভক্তি দূর করে পরিবর্তনের সময়ে তাদের সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দেওয়া এখন অপরিহার্য।

এসএম/একিউএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।