এবার জামায়াতের প্রতিনিধি দল ইসিতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সঙ্গে বৈঠক করছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসে।

সিইসি ছাড়াও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন
ইসলামী ব্যাংক-ইবনে সিনার কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ নয় 
বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকেন: ইসিকে মঈন খান 

রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার থাকেন ভোটের দায়িত্বে, যাদের সংখ্যা প্রায় ৯-১০ লাখ।

‘বিতর্কিত’ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে দূরে রাখার বিষয়ে বিএনপির আপত্তির পর জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসেছে।

পাঁচ দিন আগে বিএনপি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিষয়ে বৈঠক করে ‘বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ’ কর্মকর্তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কোনোভাবে যেন বিতর্কিতদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া না হয়।

এ বৈঠকে জানানো হয়, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনাল তথা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলের নিকট চিহ্নিত এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যেমন, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি।

এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সারা দেশে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা/ কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং এসব শূন্যপদে তড়িঘড়ি করে দলীয় লোক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে।

এরপর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এক বিবৃতিতে ‘সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনি দায়িত্ব না দেওয়ার বিএনপির অযৌক্তিক আহ্বানে’ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

২৬ অক্টোবর বিবৃতিতে মিয়া গোলাম গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নির্বাচনি দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছে, তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন-তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য’ ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াত জেনারেল সেক্রেটারির ভাষ্য, নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এমওএস/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।