‘ধানমন্ডি ৩২ গুঁড়িয়ে উন্মুক্ত খেলার মাঠ হবে’
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকে ‘খেলার মাঠে রূপান্তর’ করার দাবিতে বুলডোজার নিয়ে সেখানে জড়ো হয়েছেন জুলাই স্মৃতি পরিষদ ও জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা কলেজ এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসেন তারা।
জুলাই স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে একটি উন্মুক্ত খেলার মাঠ চাই। জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী, আহত যোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যরা সবাই আজ একত্রিত হয়েছেন। আমাদের দাবি, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বা তাদের দোসরদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এখান থেকেই ছাত্র-জনতার ওপর হামলার নীলনকশা তৈরি করা হতো। তাই আমরা এই বাড়িটি গুঁড়িয়ে দিতে চাই, এখানে হবে একটি উন্মুক্ত মাঠ।
তিনি আরও দাবি করেন, তারা সরকারি কোনো সহায়তা পাননি। দুইটা বুলডোজার ভাড়া করেছি। এটা কেউ গিফট দেয়নি, সরকারি বুলডোজারও নয়, জুলাই যোদ্ধাদের টাকায় ভাড়া করা, বলেন নাহিদ।
পুলিশের বাধা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের আটকে দেয়নি। আমরা স্বেচ্ছায় অপেক্ষা করছি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রায়ের অপেক্ষায় আছি। রায় ঘোষণা হলেই আমরা বুলডোজার নিয়ে এগিয়ে যাবো।
জুলাই যোদ্ধা সাব্বির বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ছিল ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো ও চক্রান্তের কেন্দ্র। যেখানে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল ছিল, সেই বাড়িটি আমরা আর দেখতে চাই না। তাই আজকের এই উদ্যোগ, এই বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য একটি মাঠ গড়ে তোলা।
বুলডোজার বহরে থাকা শিক্ষার্থী হাবিসুর বলেন, ঢাকায় শিশু পার্ক আর খেলার মাঠ ভয়াবহ সংকটে আছে। ধানমন্ডি ৩২ ফ্যাসিবাদের প্রতীক। আমরা চাই, এটি ভেঙে একটি উন্মুক্ত পার্ক ও খেলার মাঠ হোক। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাবো।
এদিকে, পুলিশ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কড়াকড়ি নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তবে ছাত্র-জনতা জানিয়েছেন‘যেকোনো মুহূর্তে’ রায় ঘোষণার পর তারা বুলডোজার চালাতে প্রস্তুত।
ইএআর/এসএনআর/এমএস