কেরানীগঞ্জে আগুন

গার্মেন্টস ঝুট ও কালো ধোঁয়ায় নির্বাপণে দেরি হচ্ছে: ফায়ার সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী

কেরানীগঞ্জের বাবুবাজারে জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার প্রায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তা এখনো পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। ভবনে প্রচুর পরিমাণ গার্মেন্টস ঝুট এবং কালো ধোঁয়ার কারণে অগ্নিনির্বাপণে অনেক সময় লাগছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণে আরও সময় প্রয়োজন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তাজুল ইসলাম বলেন, জাবালে নূর একটি মার্কেট ও আবাসিকসহ বাণিজ্যিক ডকুপেন্ট বিল্ডিং। আগুনের খবর আমরা পাই সকাল ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং ৫টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এরপর প্রায় ২০টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে।

তিনি বলেন, একটি বিল্ডিং বললে ভুল হবে, এখানে মোট সাতটি বিল্ডিং। জাবালে নূর থেকে শুরু করে আরও পাঁচটি বিল্ডিং রয়েছে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ে প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস ঝুট এবং অ্যাকসেসরিজ সংরক্ষিত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে।

প্রতিটি শাটার ও ক্লোজড গেটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে। বিল্ডিংটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, ভেতরে ভেন্টিলেশন প্রায় নেই। ফায়ার ফাইটারদের ধাপে ধাপে কাজ করতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। গার্মেন্টসের অ্যাকসেসরিজ পুড়ে অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া তৈরি হচ্ছে এবং ঝুট সরানোর সময় আগুন আবার জ্বলে ওঠছে। এছাড়া অনেক ছোট-বড় আলাদা শাটার কাটার দিয়ে খুলে কাজ করতে হচ্ছে, যা আবার ধোঁয়া বাড়াচ্ছে। এসব কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১১ ঘণ্টা লেগেছে।

আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণে আরও সময় লাগবে এবং আশা করা হচ্ছে, মালামাল ধাপে ধাপে বের করার মাধ্যমে আগামীকালকের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

তিনি বলেন, পুরো এলাকা কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, বেজমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে তিনতলা পর্যন্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে গেছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, আশা করা হচ্ছে, বড় কোনো দুর্যোগ ঘটবে না। তবে আগুন নির্বাপণ প্রক্রিয়া কঠিন এবং অনেক সময়সাপেক্ষ হবে।

হতাহতের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তার সঠিক সূত্রপাত তদন্তের পরই বলা যাবে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে প্রচুর পরিমাণ গার্মেন্টস মালামাল, অ্যাকসেসরিজ, কাপড় ও ঝুট রয়েছে। তদন্তসাপেক্ষেই ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব।

কেআর/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।