সাম্প্রদায়িকতা রুখতে বড় হাতিয়ার সংস্কৃতি : সংস্কৃতিমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

দেশে চলমান সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সংস্কৃতির হাতিয়ারকে শানিত করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে নব নির্মিত দেশের প্রথম ভাসমান ‘নন্দনমঞ্চ’ উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও অপসংস্কৃতিকে রুখে দাঁড়াতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সংস্কৃতি। একটি দেশের সংস্কৃতি যত শক্তিশালী হবে সেদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের মতো ক্ষতগুলো দুর্বল হয়ে পড়বে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দেশের সংস্কৃতির হাতিয়ারকে শানিত করছে।"

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বর্তমান সরকার এদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশ চায়। এ লক্ষ্যেই মানুষের সৃজনশীলতার চর্চা ও সুকুমার বৃত্তিগুলো বিকশিত করে তুলতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তারই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে প্রথমবারের মতো এই ভাসমান মঞ্চ নির্মাণ করা হলো। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

নন্দন মঞ্চের উদ্বোধন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। আজ প্রথম দিনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো তালবাদ্যযন্ত্র ধ্বনি,একক সঙ্গীত, সমবেত সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, নৃত্যালেখ্য, কাওয়ালী ও এ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী।

বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নাট্য নির্দেশক ও নাট্যশিল্পী ত্রপা মজুমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দী, লোক সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, খায়রুল আনাম শাকিল ও সায়ান। কাওয়ালী পরিবেশন করেন সমীর কাওয়াল ও তাঁর দল।

এছাড়াও শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় ও অনিক বোসের পরিচালনায় পৃথক সমবেত নৃত্য ও ঢাকা সাংস্কৃতিক দল ও বহ্নিশিখা সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনায় বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করে।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এবং শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দিন।

আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।