মাওয়া ঘাটে পর্যটকদের ভিড়


প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঢাকা থেকে দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিলোমিটার। কয়েক বছর আগেও পদ্মা, ইলিশ আর মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ছিল মাওয়া ঘাট। ঢাকা থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ইলিশ খেতে যেত ঢাকাবাসী। মাঝে অসমতল রাস্তা আর যানজটের কারণে মাওয়ায় ভাটা পড়েছিল পর্যটকদের।

তবে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে নতুন রূপে জেগে উঠেছে মাওয়া। ইলিশ আর মিষ্টির পাশাপাশি সেতু নির্মাণের পাশের সড়কগুলোও নজর কেড়েছে পর্যটকদের।
 
সরেজমিন মাওয়া গিয়ে দেখা গেছে, দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে নতুন রূপ পেয়েছে মাওয়া সড়ক। নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সেতুর টোল প্লাজা নির্মাণ। পাশ দিয়ে করা হয়েছে একটি বিকল্প সড়ক। মাওয়া ঘাট থেকে ১০০ গজ আগে বাম দিকে চোখে পড়ে সড়কটি। আর দর্শনীয় সড়কটিকে ঘিরেই প্রধান আকর্ষণ পর্যটকদের।
 
দর্শনীয় এই সড়কটি বিমানবন্দরের রানওয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সড়কের দুই ধারে ঘাস। গাড়ি থামিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলতে ভুল করছেন না কেউ।

Padma
 
রাহাত আমিন নামে এক যুবক বলেন, মাওয়ায় এসে কখনো এমন অপরূপ জায়গা দেখিনি। ঢাকার আশপাশে এমন জায়গা খুব কমই আছে।
 
এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন সকাল থেকেই পদ্মার তীরে হাজারও দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়েছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে চটপটি-ফুচকার দোকানগুলোতে ভিড় করেছেন। কেউ বেসনে ভাজা চিংড়ির মস্তক খাচ্ছেন। কেউ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে পদ্মাকে উপভোগ করছেন।
 
অনেকে আবার সিবোট বা ট্রলারে ঘণ্টা হিসেবে চুক্তি করে নদীতে নেমে আনন্দ করছেন।

Padma
 
কানাডা প্রবাসী আবেদ খান চার বছর পর এক মাসের ছুটিতে দেশে এসে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন মাওয়ায়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, জায়গাটি খুবই সুন্দর, বিকেলটি তাদের খুবই আনন্দে কেটেছে। সরকারের উচিত মাওয়াকে অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
 
এদিকে শুধু মাওয়াই নয়, পর্যটকদের ভিড় ছড়িয়ে পড়েছে লৌহজংয়ের পদ্মা রিসোর্ট, মাওয়া রিসোর্ট, পদ্মার চর, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর আশপাশসহ পদ্মা পাড়ের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে।
 
এআর/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।