দুমাসে ৮০ শিশু অপহরণ
সারাদেশে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৮০টি শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ৩৯ ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৪১টি।
পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ছোট শিশুদের বেশিরভাগ সময়ই চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়। এ ছাড়া অপহরণকারীরা নানা কৌশলে শিশু অপহরণ করে তাদের বাবার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। টাকা না পেয়ে শিশুকে হত্যা করে কোথাও ফেলে রাখছে।
অপহরণের কয়েকটি ঘটনা
গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদির সবুজছাতা এলাকায় ৪ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর রাতে খুন করা হয়। গভীর রাতে একই এলাকায় পাইলিং করা মাটির গর্ত থেকে শিশু মোছাঃ মুসকানের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপহরণের চার দিন পর ১৪ মার্চ রাতে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয় এক পুলিশ সদস্যর বাড়ি থেকে। ১১ মার্চ ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ রায়নগর দর্জিবন্দের বাসায় ফেরার পথে অপহরণ হয়।
অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে টাকা কমিয়ে ২ লাখ টাকা বলা হয়। কিন্ত অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়। ৮ মার্চ পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ কলাবাগান বস্তির বাসা থেকে নিখোঁজ হয় হাসান নামে ৫ বছরের শিশু। নিখোঁজের তিনদিন পর ১১ মার্চ বাউনিয়া বাঁধ মহিলা মাদ্রাসা-সংলগ্ন বেড়িবাঁধের দক্ষিণ পাশের ডোবায় কচুরিপানার মধ্যে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডোবায় ফেলে রাখে।
২২ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে অপহরণ হয় সাড়ে ৪ বছর বয়সী শিশু সুমন। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি একই এলাকা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। দুর্বৃত্তরা তার চোখও উপড়ে ফেলে। ১৪ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর পূর্বপাড়ার শিশু মোস্তফা কামালকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ হিসেবে তার বাবার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা তাকে খুন করে। ১৯ জানুয়ারি তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সূত্র : যুগান্তর
এসএইচএ/আরআইপি