নগরায়ন ও বস্তি সমস্যা মোকাবেলা একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ : ইনু


প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ২৭ মে ২০১৫
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, একুশ শতকের বড় চ্যালেঞ্জ হলো, নগরায়ন ও বস্তির সমস্যাকে মোকাবেলা করা। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে এবং কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে শিল্পয়ান ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব।

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘২০১৫ সালের টেকসই উন্নয়ন : ইস্যু নগর স্বাস্থ্য’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের তাদের রোগবালাই সম্পর্কে যথাযথ তথ্য দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নগর স্বাস্থ্য নীতিমালা চালু করে সঠিক পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ড. নিতিন বাজপেয়ী গবেষণার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, ভারতের পুনে, ভুবেনশ্বর, জয়পুর ও আগ্রা -এই চারটি শহরের ৪শ’ বস্তি পরিবারের কাছ থেকে গত ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যস্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই গবেষণায় দেখা যায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার চেয়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় তারা তাড়াতাড়ি রোগমুক্ত হতে পারছেন।

পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো- নগরের বস্তিবাসীসহ অন্যান্য দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল হেলথ’র প্রতিনিধি জোসে সিরি ‘উন্নত জীবনযাপনের জন্য করণীয় : নগর স্বাস্থ্য নীতি’ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত চার দিনের এ সম্মেলনে ৩২টি ব্রেকআউট সেশন, ২০টি বিশেষ সেশন, ৮টি প্ল্যানারি সেশন ও কয়েকটি বিজনেস সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আমাদের অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। বাংলাদেশ অত্যন্ত জটিল দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। অতি সম্প্রতি ঘটে ভূমিকম্পে নেপালের সাথে বাংলাদেশও কেঁপে ওঠে। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।

রাষ্ট্রের পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও দুর্যোগ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে হবে। সেন্ডাই ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশেও দুর্যোগ মোকাবেলা ও নীতিকৌশল গ্রহণের বিষয়টির ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি।

নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সভাপতি এম কিউ কে তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১৮তম বিশেষ সেশনে ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্যের অবস্থা : নগর বস্তিবাসীর সেবার পছন্দ’ বিষয়ে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন ভারতের প্রতিনিধি ড. নিতিন বাজপেয়ী। সেমিনারে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার পক্ষে তিনি তার গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

আরএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।