১৪টি ওমানের মুদ্রার মূল্য ১০০০ টাকা, প্রতারকচক্র নিল দেড় লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

বৈদেশিক মুদ্রা প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। তারা বিদেশি মুদ্রার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন-মো. আবু সাঈদ (৩২), মো. মামুন হোসাইন (৩০), মো. হাবিবুর রহমান (৩৭), মো. মাসুম হোসেন (২৯) ও মো. মামুন শরীফ (৩৪)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানায়, মো. ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত ১৭ অক্টোবর বেলা ১১টায় তার আলফা লজিস্টিকস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠানের দেড় লাখ টাকা প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখা থেকে উত্তোলন করে অফিসে যাচ্ছিলেন। গুলশান-১ এলাকার ফুটপাতের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন সিএনজিচালক তাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করে ডাক দেন। তিনি তার ডাকে সাড়া দিলে চালক তাকে ওমানের কিছু নোট দেখান এবং এগুলো কোথায় ভাঙাতে পারবেন জানতে চান। তখন পাশেই দাঁড়ানো এক যুবক সিএনজিচালকের কাছ থেকে নোটগুলো নিয়ে ভালো করে দেখে তার মোবাইল ফোনে হিসাব করে জানান যে, নোটগুলোর অনেক দাম। ওই যুবক সিএনজিচালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকায় একটা নোট ক্রয় করেন। এরপর আরও একজন লোক সিএনজিচালকের কাছে এসে ১৪টি ওমানের নোট তার মোবাইল ফোনে হিসাব করে বলেন যে, নোটগুলোর মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ লাখ টাকা হবে।

পরে ওই ব্যক্তি ইসমাইল হোসেনকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজিচালকের কাছে থাকা ১৪টি ওমানের নোট দিয়ে দেড় লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত সিএনজিতে উঠে পালিয়ে যান। তাদের আচরণ সন্দেহ হলে ইসমাইল হোসেন সিএনজির নম্বর প্লেটের নম্বরটি মুখস্ত করে রাখেন। পরে তিনি মানি এক্সচেঞ্জের দোকানে গিয়ে জানতে পারেন ১৪টি ওমানের মুদ্রার মূল্য মাত্র ১০০০ টাকা। এ বিষয়ে ২২ অক্টোবর গুলশান থানায় তিনি একটি মামলা করেন।

মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিএনজিচালক আবু সাইদকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তার হেফাজত থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরের দিকে লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারণা চক্রের অন্যান্য সদস্য মো. মামুন হোসাইন, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মাসুম হোসেন ও মো. মামুন শরীফকে গ্রেফতার করা হয়।

গুলশান থানা সূত্রে জানায়, গ্রেফতাররা পেশাদার প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজিসহ অবস্থান নিয়ে টাকা বহনকারী সহজ সরল ব্যক্তিকে টার্গেট করে কৌশলে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ওমানের নোট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

এআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।