করোনা মানুষকে ভালোবাসার সুযোগও এনে দিয়েছে
মানুষ বিশেষ সময়ে মানুষকে কাছে পায়। কাছে পেতে চায়। এখন এমনই এক বিশেষ সময়। করোনাভাইরাসের প্রভাব একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এমন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প পথ নেই। মূলত, করোনা মানুষকে ভালোবাসার সুযোগও এনে দিয়েছে।
বলছিলেন সমাজচিন্তক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। করোনার প্রভাবে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমিত রোগ বলে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে এটি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সাবধানতা আর সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই৷ অন্য দেশও তাই করছে। বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধা রাখছে। মানুষ যা চাইছে, তা করতে পারছে না সরকার, রাষ্ট্র। এমন সময়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তা নেয়নি। সরকার আগাম ব্যবস্থা নেয়ার যথেষ্ট সময় পেয়েছে। অথচ তখন নির্বিকার ছিল।’
এই অধ্যাপক বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বাংলাদেশ চাইলেও তা পারবে না। কারণ এখানকার মানুষের জীবনযাপন, সমাজ, রাষ্ট্র ব্যবস্থা তাদের সঙ্গে যায় না। রাষ্ট্র দায় না নিয়ে হঠাৎ করে সব বন্ধ করে দিলে বিপদ আরও বাড়বে। মানুষ না খেয়ে মারা যাবে৷ দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। এই সময়ে এটি হতে পারে না। সরকারকে আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার পথ খুলে রাখতে হবে। এটি রাষ্ট্রের দায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সরকারের ওপর দায় দিয়েই মানুষ মুক্ত হতে পারে না। মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। সব বিভেদ ভুলে মানুষকে ভালোবাসার সুযোগ এসেছে। করোনা মানুষকে ভালোবাসার সুযোগও এনে দিয়েছে৷ এই ভালোবাসার প্রকাশ না ঘটলে কেউ ভালো থাকব না৷ সমাজ, রাষ্ট্রও ভালো থাকবে না।’
এএসএস/এমএসএইচ/এমআরএম