প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা বাস্তবায়নে সুপারিশমালা করার নির্দেশ
করোনা মহামারির ফলে সৃষ্ট শিল্পখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি কার্যকর সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে এখনই একটি কার্যকর নীতিমালা ও সুপারিশ প্রণয়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, এফবিসিসিআই, বিসিআই, নাসিব এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।
সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের যথাযথ ব্যবহার, মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করণীয় বিষয়ে বলেন তিনি
শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রভাবে তৃণমূল পর্যায়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানার সঠিক তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।
প্রণোদনার অর্থের যাতে কোনো ধরনের অপব্যবহার না হয় এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে এর সুফল পায়, সেজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম শিল্পমন্ত্রীকে জানান, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজর ২০ হাজার কোটি টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল যাতে সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকরা সঠিকভাবে ও সহজভাবে পান, সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, নাসিব এবং বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির নিকট থেকে সুপারিশ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।
মন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে এগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রস্তাবনা আকারে বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ বিভাগে পাঠানো হবে।
এমইউএইচ/জেডএ/পিআর