সন্দ্বীপে আছড়ে পড়ছে ৮ ফুট উঁচু ঢেউ, ভাঙছে বাঁধ-ভেসে গেল যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, ২০ মে ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ৭-৮ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে সন্দ্বীপ উপকূলে। চট্টগ্রামের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাঁধে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

বুধবার (২০ মে) বিকেলে দক্ষিণ সন্দ্বীপের সারিকাইত এলাকা থেকে পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে ৭-৮ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে সন্দ্বীপ উপকূলে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ময়েন উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই বিশাল বিশাল ঢেউ সাগর পাড়ে আছড়ে পড়ছে। আমাদের সারিকাইত এলাকার বাঁধের বিরাট অংশ ভেঙে গেছে। জোয়ারে সাগর ফুঁসে উঠছে। প্রচণ্ড বাতাস বইছে। তুফান শুরু হলে কি হবে আল্লাহ জানেন।’

এদিকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সন্দ্বীপ পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জোয়ারে ভেসে যাওয়া এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

নিহত যুবকের নাম মো. সালাউদ্দিন (১৮)। তিনি পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের হোনাজীর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।

জানা গেছে, চরে গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় সালাউদ্দিন।

আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এটি ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।