কোরবানির পশু বিপণন-পরিবহন সমস্যা সমাধানে থাকছে হটলাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২০

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আসন্ন ঈদুল আজহায় পর্যাপ্ত গবাদিপশু সরবরাহ ও বিপণনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোরবানি করে পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহনের সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হটলাইনে সম্পৃক্ত থাকবেন।’

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতর কক্ষে কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘গবাদিপশুর বাজারগুলোতে প্রায় এক হাজার ২০০ মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ন গবাদিপশু বাজারে না আসতে পারে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পর্যাপ্ত গবাদিপশু সরবরাহ ও বিপণনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোরবানি করে পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, নিজের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতা দিয়ে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবছর কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। কোরবানির পশু পরিবহনে রাস্তায় চাঁদাবাজি হয়, দীর্ঘসময় প্রাণিকে ট্রাকে আটকে রাখতে হয়। এবার আমরা চাই, কোনোরকম চাঁদাবাজি হবে না। যে অঞ্চলে সুযোগ আছে, সেখান থেকে ট্রেনে পরিবহন হবে। খামারিদের খামারে পশু বিক্রয় হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবে না।’

jagonews24

মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরও দেশে কোরবানির জন্য গবাদিপশুর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুত রয়েছে। যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্টকৃত গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার, ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য ৪ হাজার ৫০০টি। কোরবানির জন্য কোনো অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেয়া হবে না। করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এ বছর আমরা অনলাইন বাজারের ওপর জোর দেয়ার চেষ্টা করছি।’

কোরবানির সময়ে খামারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। কোনোভাবেই যেন একজন খামারি, বিক্রেতা বা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন তিনি। এ সময় কোরবানি সংশ্লিষ্ট সরকারের সকল বিভাগকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানেরও অনুরোধ জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের উপপরিচালকগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, বিজিবি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি অনলাইনে সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এমইউএইচ/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।