বিএসএমএমইউ-এর করোনা সেন্টারে ২২৩ রোগীর মৃত্যু

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় গত ৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা সেন্টার চালু হয়। গত তিনমাসে এ করোনা সেন্টারে ২ হাজার ৯৩২ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে এক হাজার ৮২১ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৪১৩ জন রোগী। বর্তমানে ভর্তি আছেন (৫ অক্টোবর পর্যন্ত) ১৪৮ জন রোগী। মারা গেছেন ২২৩ জন।

বিএসএমএমইউর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ভর্তিকৃত করোনা রোগীদের মধ্যে ২২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অনেককেই বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারেননি। এদের অধিকাংশ প্রবীণ বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকের পুরো ভবন ও বেতার ভবনের করোনা ইউনিটে সর্বমোট শয্যা সংখ্যা ৩৭০টি। মোট শয্যার মধ্যে ২৫০টি কেবিন ব্লকে আর বেতার ভবনে শয্যার সংখ্যা ১২০টি। ৩৭০ শয্যার ইউনিটে আইসিইউ ২১টি ও ১৬টি এইচডিইউ রয়েছে।

জানা গেছে, কেবিন ব্লকে সাধারণ রোগীদের ভর্তি করা হয়। বেতার ভবনে চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বিএসএমএমইউতে গত ১১ মার্চ ফিভার ক্লিনিক চালু হয়। ফিভার ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩৫০ রোগী আসে। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

৫ অক্টোবর পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ৬০ হাজার ২৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৭ হাজার ৫৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

বিএসএমএমইউতে করোনা পরীক্ষার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। শুরুর দিকে নমুনা পরীক্ষা করা নিয়ে নানা অসন্তোষ থাকলেও পরবর্তীতে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চালু করা হয়। এ পদ্ধতিতে অনলাইনে নাম লিপিবদ্ধ করে তা দেখিয়ে নমুনা দিতে হয়। এ পদ্ধতির প্রশংসা করেছেন সাধারণ রোগীরা।

এমইউ/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।