করোনায় প্রাণ গেল আরও ৩৫ জনের, আক্রান্ত ২৫২৫
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩৫ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। ৩৫ জনের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৬৪৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৫৬৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৩৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৭০১টি।
এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৫২৫ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ জনে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জন।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১৬ দশমিক শূন্য ৪৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৮৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৬ হাজার ৬৪৪ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৯৯ জন (৭৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৫৪৫ জন(২৩ দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের একজন, দশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২০ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রামে এক, রাজশাহীতে চার, খুলনায় দুই, সিলেটে এক রংপুর একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন।
এমইউ/এফআর/এমএস