৪০ বছর বয়সীরাও করোনা টিকা নিতে পারবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ছবি: মাহবুব আলম

চল্লিশ বছর বয়সী সাধারণ মানুষও করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত ব্যতীত ৫৫ বছরের নিচের কোনো সাধারণ নাগরিক টিকা নিতে নিবন্ধন করতে পারতেন না।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান। কেউ আগে নিবন্ধন করতে না পারলে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তিনি টিকা দিতে পারবেন বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘টিকা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এখানে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন, গতকাল থেকে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে, এটাকে আরেকটু রিল্যাক্স করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন ৪০ বছর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। গতকাল ৫৫ বছরের কম হলে কিন্তু টিকা দেয়া হচ্ছিল না। সেজন্য আজ বলে দেয়া হয়েছে ৪০ বছর পর্যন্ত হলে টিকা দেয়া যাবে। এটা আজ থেকেই কার্যকর হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ যারা আছেন ধীরে ধীরে তাদের ওপেন করে দিতে হবে। যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার প্রয়োজন হলে তাদের ফ্যামিলিকেও ধীরে ধীরৈ রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়ে দিতে হবে।’

‘প্রধানমন্ত্রী বার বার অনুরোধ করেছেন, আমরা টিকা বা যা-ই নিই, অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে কিন্তু কোনো কাজ হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটা সুপারিশ করেছে। মাস্ক ছাড়া কোনো কাজ হবে না। কোনো অবস্থায়ই আমাদের মাস্কের সাথে যাতে কম্প্রোমাইজ না হয়।’

jagonews24

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ যদি রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হন, তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিতে পারবেন, সেই ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে চেক করা হবে তিনি কেন রেজিস্ট্রেশন করেননি।’

গ্রামের বাসিন্দারা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং শহরের বাসিন্দারা বিজনেস সেন্টারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

টিকা নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি আরেকটু সহজ এক ধাপ বিশিষ্ট করার জন্য ইতোমধ্যে তিনি আইসিটি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই টিকার কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে যদি ৭০ জন ইমিউন হয়ে যায় তাহলে রোগটি হ্যান্ডেল বা এটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক কম্ফোর্টেবল একটা জোনে আমরা চলে যাব।’

গতকাল ভ্যাকসিন নেয়ার পর শারীরিক অবস্থার জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো অসুবিধা নেই, আমি তো ৫টা পর্যন্ত অফিস করেছি। আমার ওয়াইফও তো নিয়েছেন।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলে দেয়া হয়েছে, তারা এ বিষয়ে কুইকলি এটা অ্যাকশনে যাবে। ওনারা হেলথের সঙ্গে কথা বলে কী করবেন সেটা ঠিক করবেন।’

আরএমএম/এসএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।