সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুসহ করোনার সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত, মৃত্যু এবং সুস্থতাসহ সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। এপিডেমিওলজিক্যাল ১৩তম সপ্তাহের (২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল) সঙ্গে এপিডেমিওলজিক্যাল ১৪তম সপ্তাহের (৪ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) তুলনামূলক বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, একই সময়ে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নতুন রোগী শনাক্ত বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং রোগী সুস্থতা বেড়েছে ৪২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
শনিবার (১০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এপিডেমিওলজিক্যাল ১৩তম সপ্তাহে এক লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ৩৮ হাজার ৪৭১ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ১৫ হাজার ৮৫৩ জন সুস্থ এবং ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
এপিডেমিওলজিক্যাল ১৪তম সপ্তাহে দুই লাখ ২০ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ৪৮ হাজার ৬৬০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত, ২২ হাজার ৬০৩ জন সুস্থ এবং ৪৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৩৯৯তম দিবসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ৭৭ জনের মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৬৬১ জন।
একই সময়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২৪৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৫ হাজার ১৮৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৬ হাজার ৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৪৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন।
এমইউ/এমআরআর/জিকেএস