‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে’

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
দুদক সচিব বলেন, ‘দুদক কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেনি। দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে সাঈদ খোকনকে জিজ্ঞেসাবাদ করবেন।’
গত রোববার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাঈদ খোকন, তার মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম ও বোন শাহানা হানিফের আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দেন আদালত। দুদকের আবেদনে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রোববার এ আদেশ দেন।
অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মধ্যে সাঈদ খোকনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সাঈদ খোকন। দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে দুদকের মাধ্যমে তাকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের এক আদেশবলে আমার এবং আমার পরিবারের আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। যে আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আমার এবং আমার পরিবারের সাত কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৩ টাকা রক্ষিত রয়েছে। আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, দুদক আমার এবং আমার পরিবারের কোনো সদস্যকে কোনোরূপ নোটিশ প্রদান না করে, কোনোরূপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য।’
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এহেন কর্মকাণ্ডে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র তাপস নগর পরিচালনায় তার সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে আমার প্রতি বিভিন্ন হয়রানিমূলক এবং বিদ্বেষমূলক আচরণ করে আসছে।’
এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসসিসি মেয়রের বরাত দিয়ে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, ‘বিষয়টি মহামান্য আদালত ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংশ্লিষ্ট। বিচারাধীন কোনো বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কোনো ধরনের বক্তব্য বা প্রতিউত্তর দিতে নিরুৎসুক।’
এসএম/এমএইচআর/এমএস