নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে ২৫ জুলাই থেকে বিশেষ ওএমএস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ২২ জুলাই ২০২১
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে ২৫ জুলাই (রোববার) থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কার্যক্রম।

এই কার্যক্রমে সারাদেশে এক হাজার ৫৯টি দোকানে ডিলার ও ট্রাকের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি চলবে। শুক্রবার ছাড়া আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রমের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতিকেজি আটা ১৮ টাকায় বিক্রি হবে।

আটটি নির্দেশনা মেনে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে খাদ্য অধিদফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের চলমান সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ওএমএস খাতে চাল ও আটার (গম) বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদফতর থেকে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট (শুক্রবার ছাড়া) পর্যন্ত মোট ১২ দিন পর্যন্ত ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় চাল ও আটার বরাদ্দ বিভাজনের প্রস্তাব পাঠালে খাদ্য মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের বরাদ্দ করা চাল ও আটা নির্ধারিত সময়ে প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে।

ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য ১০টি সিটি করপোরেশন তিনটি করে অতিরিক্ত ট্রাকসেল কেন্দ্র বরাদ্দ পাবে। ট্রাকসেল কেন্দ্র প্রতি দৈনিক আড়াই টন করে চাল এবং দেড় টন করে আটা বরাদ্দ পাবে। শ্রমঘন জেলাগুলোর (সিটি করপোরেশনের বাইরে) কেন্দ্রগুলো (৮৬টি) অতিরিক্ত একটি করে ট্রাকসেল বা দোকান কেন্দ্র বরাদ্দ পাবে। ট্রাকসেল বা দোকান প্রতি কেন্দ্রে দৈনিক ২ টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বরাদ্দ পাবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘ক’ শ্রেণির (জেলা সদরের বাইরে) পৌরসভায় (১৩৩টি) প্রতি পৌরসভা চারটি করে দোকান ডিলার কেন্দ্র বরাদ্দ পাবে। দোকান ডিলার কেন্দ্র প্রতি দৈনিক দেড় টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বরাদ্দ পাবে।

‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির (নিয়মিত বরাদ্দের আওতাবহির্ভূত) পৌরসভায় (১৩৭ টি) প্রতি পৌরসভা তিনটি করে দোকান ডিলার কেন্দ্র বরাদ্দ পাবে। দোকান ডিলার প্রতি কেন্দ্রে দৈনিক দেড় টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বরাদ্দ পাবে।

ওএমএষের বিশেষ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের জটিলতা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা ওএমএস কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে নিরসন করতে হবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশনা দেয়া হয়।

‘ওএমএস নীতিমালা, ২০১৫’ এর অন্যান্য সব শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় চলতি মাসের ১ জুলাই থেকে টানা দুই সপ্তাহ চলে কঠোর বিধিনিষেধ। পরে ঈদুল আজহার কারণে আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। আবার আগামীকাল (২৩ জুলাই) থেকে ফের শুরু হচ্ছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ।

আরএমএম/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।