‘মাস্কবিহীন কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না’
দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন কারণে-অকারণে লোকজনের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেউ নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অলিগলির চিত্র একেবারেই ভিন্ন। প্রধান সড়কের বাইরে অলিগলিতে খোলা আছে সব ধরনের দোকানপাট।
রোববার (২৫ জুলাই) মিরপুর-১০, ১১ ও ১২ নম্বর ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান ও অভ্যন্তরীণ সড়কে মানুষের চলাচল অনেকাংশেই বেড়েছে। নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলা দেয়া ও জরিমানা করা হচ্ছে।
রোববার দুপুর ১টার পরে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে বিজিবির তত্ত্বাবধানে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় মাস্ক না পরা ও বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হয়ে লকডাউনের আইন অমান্য করায় ২২ জনকে জরিমানা করা হয়। কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে তা জানাননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেউ আইনের ব্যত্যয় ঘটালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সোপর্দ করছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুন নাহার আরও বলেন, ‘মাস্কবিহীন কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কেউ আইন অমান্য করলে জরিমানা অব্যাহত থাকবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ রাস্তায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। মিরপুর-১০ নম্বরে দুটি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। পেট্রলিং করছে সেনাবাহিনী। যারা অকারণে বাইরে বের হয়েছে তাদের ফিরেয়ে দেয়া হচ্ছে। মূল সড়কগুলোতে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে দোকানপাট খোলা।
এসএম/এমআরআর/জেআইএম