করোনা শনাক্তের হার নামলো ১৭ শতাংশে
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৭২৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩৪ হাজার ৯২৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৯৩ জন। একদিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক শূন্য ১৮ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
দেশে করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৩টি। এতে এ পর্যন্ত শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩ জনে। এখন পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ২৩ জনে।
করোনায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ২৮ জন, আশির্ধ্ব ১১ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী ছয়জন মারা গেছেন।
বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৫৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৩ জন, রাজশাহীতে পাঁচজন, খুলনায় ১৫ জন, বরিশালে চারজন, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন করে মৃত্যু হয়েছে।
একদিনে ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৫৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/জেআইএম