১৬ মাস আগে শিশু হত্যাকাণ্ড, এখনো খোঁজ মেলেনি অভিভাবকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:৫৬ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১

অজ্ঞাতনামা কন্যা শিশুটির মরদেহ পড়ে ছিল চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। ঘটনার পর প্রায় ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও থানার ফিরিঙ্গী বাজার ব্রিজঘাট এলাকা থেকে ওই মরদেহের কোনো অভিভাবকের হদিস পায়নি পুলিশ। প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে শিশুটির অভিভাবকের খোঁজ না পাওয়ায় সম্প্রতি আদালতের আদেশে মামলাটি তদন্তভার পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

জটিল মামলার জট খুলে ‘প্রশংসিত’ হওয়া সংস্থাটি তদন্তভার পেয়েই ইতোমধ্যে অজ্ঞাতনামা ওই শিশুর অভিভাবকের খোঁজে কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি ওই শিশুর মরদেহের একটি ছবির মাধ্যমে হন্য হয়ে সংস্থাটি খুঁজছে অভিভাবককে। ছবিটি কেউ চিনে থাকলে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে যোগাযোগের পাশাপাশি একটি নম্বরে ফোন করে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। ওই নম্বরটি হলো- ০১৮৮১১২৭৫৭৬।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৮ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গী বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাতনামা তৎকালীন সময়ে আনুমানিক দুই বছর পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ। ধারণা করা হচ্ছে, এর আগে কোনো সময়ে শিশুটিকে হত্যার পর বাজারের হোসেন সওদাগর ফার্নিচার কারখানার পেছনে পরিত্যক্ত ঘরের সামনে কেউ ফেলে গেছে।

এ ঘটনার পর ওইদিনই কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশ অনেক চেষ্টা করে ওই শিশুর অভিভাবকের খোঁজ পায়নি। একপর্যায়ে মামলাটির তদন্তভার পায় নগর ডিবি পুলিশ। তারাও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন তো দূরে থাক অভিভাবকেরই খোঁজ পায়নি। এরপর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ক্লুলেস মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই।

জানতে চাইলে মামলার তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন আগে কোতোয়ালি থানা এলাকায় অজ্ঞাত শিশু হত্যা মামলাটির তদন্তভার আমরা পেয়েছি। এরপর ২৪ নভেম্বর উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল করিমকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলার রহস্য উদঘাটন করতে শিশুটির অভিভাবক শনাক্ত করা জরুরি। এজন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং গ্রাম পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিশুটির একটি ছবি আমাদের কাছে আছে। ওই ছবি কেউ চিনে থাকলে চট্টগ্রাম পিবিআই বরাবর যোগাযোগেরও অনুরোধ করা হচ্ছে।

খুব শিগগির পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে বলে আশাবাদী পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

মিজানুর রহমান/এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।