৮৫ শিশু পরিবারে থাকছে ৭ হাজার ৩৮৩ জন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ফাইল ছবি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম মাহফুজা আখতার জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মোট ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবার রয়েছে। সেগুলোর আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৩০০টি। এসব শিশু পরিবারে বর্তমানে নিবাসীর সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮৩ জন।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকে তিনি এসব কথা জানান। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে সচিব বলেন, আইন অনুযায়ী পিতৃহীন অথবা পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের পারিবারিক পরিবেশে যত্নের সঙ্গে লালনপালন করে তাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন, দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টিসহ উপযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত ও নির্ধারিত মেন্যু অনুযায়ী শিশুদের প্রতিদিন খাবার দেওয়া হয়। তাদের মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দ ৪ হাজার টাকা ।

এরপর সভাপতি রাশেদ খান মেনন সরকারি শিশু পরিবারের আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৩০০টির মধ্যে বর্তমান নিবাসীর সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮৩ জন হওয়ার কারণ, শিশু পরিবারে ভর্তির শর্ত এবং অটিস্টিক শিশুদের রাখার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চান।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এর জবাবে সমাজসেবা অধিপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, করোনাকালে অনেক শিশু চলে গেছে কিন্তু আর ফেরত আসেনি এবং করোনার মধ্যে নতুনভাবে কেউ ভর্তি হয়নি। এজন্য আসন সংখ্যার চেয়ে নিবাসীর সংখ্যা কম আছে।

তিনি বলেন, পিতৃহীন বা পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের শিশু পরিবারে ভর্তি করা হয়। এখানে দুই ধরনের শিশু পরিবার আছে, একটি হলো শুন্য থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এবং এ শিশু পরিবারের সংখ্যা ৬টি। আর ৮৫টি শিশু পরিবার আছে যেখানে ৬ থেকে ১৮ বছরের শিশুরা ভর্তি হতে পারে।

কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সাগুপতা ইয়াসমিন, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আরমা দত্ত এবং শবনম জাহান অংশ নেন। বিশেষ আমন্ত্রণে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান বৈঠকে যোগদান করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এইচএস/এমএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।