২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা যাবে না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২২
ফাইল ছবি

দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩ -২০৫০) এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোমবারর (৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩ -২০৫০) এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা আগে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ছিল। এখানে আমাদের একটা রিকোয়ারমেন্ট ছিল আগামী ৫ বা ৬ নভেম্বর থেকে কপ সম্মেলন হবে ইজিপ্টে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এর আগেও নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন কিছু অবজারভেসন দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। আজ আবার নিয়ে আসা হয়েছে এটা, এবার ঠিক আছে। যেহেতু এভার চেইঞ্জিং লাইফ ডকুমেন্ট। আপনি এটা যত কিছু করেন এক বছর পর আবার একটা নতুন সিনারিও হবে। নতুন পরিবর্তন করে দেওয়া যাবে এজন্য এগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ (সংরক্ষিত বনের গাছ) কাটা যাবে না। কাটা যাবে সোশ্যাল ফরেস্ট যেগুলো, সেগুলো এর মধ্যে থাকবে না। সোশ্যাল ফরেস্ট হলো যেমন- কারও ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশ দিয়ে যে বনায়ন বা ডিপফরেস্টের আগে একটা বাফার জোন থাকে। সেখানে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে জয়েন্ট বনায়ন হয়।

২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা যাবে না

তিনি আরও বলেন, শেরপুরে আমি দেখেছি, এই বাফার জোনে আকাশিয়া গাছ রোপণ করা হয়। কারণ এ গাছগুলো ১৫ বছর হলে কাটার উপযুক্ত হয়ে যায়। তাই ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এই গাছ কাটতে হয়। এতে যারা এই গাছগুলো পরিচর্যা করে তারা ৭০ শতাংশ পায় আর ৩০ শতাংশ পায় বনবিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কোনো অবস্থাতেই ২০৩০ সালের আগে কাটা যাবে না। যদি কেউ কাটে তাহলে বন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ যেহেতু বন আইন আসেনি, তাই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। এটা একটা সার্কুলার টাইপের। এটা হলে গেজেট নোটিফিকেশন হবে। সেখানে বন আইনে যে শাস্তি আছে সে অনুযায়ী হবে।

২০৩০ পর্যন্ত কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হলো একটা শিফট টাইম। ৫ বছর বা ৭ বছর হয়ে থাকে। এবার ৫ বছর না করে ৮ বছরের জন্য চলে আসছে। যদিও বর্তমানে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তাই ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।

এমএএস/আরএডি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।