স্মরণসভায় শেখ সেলিম

শত প্রতিকূলতার মধ্যেও পরশ-তাপসকে সন্তানের মতো আগলে রেখেছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার মতো গর্হিত অপরাধ আল্লাহ সইবে না। যারা করেছে— তারা নিশ্চয়ই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে আয়োজিত শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মদিবসের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ ফজলুল হক মণির ছোট ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘ওর (তাপসের) বাবা-মার কথা কিছুই মনে নেই। পরশের আবছা আবছা মনে আছে। কী অপরাধ করছেন বঙ্গবন্ধু? কী অপরাধ করছেন মনি ভাই? অপরাধ কী এই তারা এদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে? খুনিরা বঙ্গবন্ধুসহ আমাদের পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হত্যা করছে। এত বড় অপরাধ আল্লাহ সবে (সইবে) না। যারা করছে তারা নিশ্চয়ই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’

শত প্রতিকূলতার মধ্যেও পরশ-তাপসকে সন্তানের মতো আগলে রেখেছি জানিয়ে শেখ সেলিম বলেন, ‘আমি আজকে এখানে এসে অত্যন্ত আনন্দিত। আমার সেই তাপস আজকে দেশে পরিচিতি লাভ করছে। শিক্ষা-দীক্ষায় বড় হয়েছে। হয়তো মণি ভাই থাকলে এর চাইতে বেশি করতে পারতো। কিন্তু আমি এবং আমার স্ত্রী কখনো কাউকে ওদের গায়ে একটা টোকা পর্যন্ত দিতে দিইনি।’

jagonews24

শেখ পরিবার নয়, যারা ষড়যন্ত্র করেছিল আল্লাহ তাদের একে একে নিঃশেষ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘শেখ পরিবার বাংলাদেশে যেন আর কোনোদিন এ দেশের কথা বলতে না পারে, সেজন্য শেখ মুজিবকে সপরিবারে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ বলে -- দেখো। শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা বাইরে ছিল। শেখ হাসিনা আজকে দেশের রাজনীতিতে এক নম্বর ব্যক্তি। তিনি আজ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাপস আজ সিটি করপোরেশনের মেয়র। আজকে আমি পার্লামেন্টে আট আট বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ নেই যে আট বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পরশ ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছে। সে যুবলীগের দায়িত্ব আছে। আল্লাহ যদি চান কেউ কিছু করতে পারে না। এ পরিবারটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ত্যাগের পরিবার। আমরা ভোগ চাই না, ত্যাগ করতেই আছি। আমাদের সম্পর্কে কেউ কোনো বদনাম করতে পারবে না। কিন্তু যারা এটা করেছে, তারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। এক একেকটা নিঃশেষ হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তাদের পরিণতি কি হয়েছে?

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস তার প্রয়াত বাবাকে বাংলাদেশের চে গুয়েভারা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের থিংক ট্যাংক হিসেবে অভিহিত করেন।

তাপস বলেন, ‘চে গুয়েভারাকে যেমনি বিপ্লবের, কমিউনিস্ট সংগ্রামের অন্যতম নেতা বলা হয়, তেমনি শেখ ফজলুল হক মণি বাংলাদেশের বিপ্লবের, সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের চে গুয়েভারা ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি। শেখ মণি শুধু সংগ্রামই করেননি, নেতৃত্বই দেননি -- তিনি একজন থিংক ট্যাংকও ছিলেন। ভবিষ্যতে কী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট হবে, কীভাবে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে এসবকিছুই তার লেখনীর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে গেছেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী রাজনীতিবিদ ছিলেন।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংরক্ষিত মহিলা আসন-২ এর সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া বক্তব্য দেন।

এমএমএ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।