চট্টগ্রামে মেট্রোরেল
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সময় লাগবে দুই বছর, ব্যয় ৭১ কোটি টাকা

চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লুুতে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় মেট্রোরেলের প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ নানাদিক আলোচনা করা হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্ল্যাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন, মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চীন নাকি কোরিয়া, কে বানাবে চট্টগ্রামের মেট্রোরেল?
চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। এ প্রকল্পে যুক্ত থাকবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), চসিক, সিডিএ ও চট্টগ্রাম বন্দর। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সময় লাগবে দুই বছর।
আরও পড়ুন: পিপিপিতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের প্রস্তাব দ. কোরিয়ার
জানা যায়, ‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কনস্ট্রাকশন অব চিটাগাং মেট্রোপলিটন এরিয়া’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জিওবি ফান্ড (সরকারি তহবিল) থেকে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ও প্রকল্প সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান কোইকা থেকে ৫৭ কোটি টাকা সংস্থান করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পাতালরেল নির্মাণের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, ব্যয় ৫২ হাজার কোটি টাকা
গত বছরের ২২ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম মহানগরীতে যানজট হ্রাস এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। পরিবেশবান্ধব মেট্রো সিস্টেম চালু করার মাধ্যমে নগরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়।
ইকবাল হোসেন/বিএ/এমএস