টিকিট না কিনে নগর পরিবহনে ওঠা বরদাশত করবো না: তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টিকিট না কিনে নগর পরিবহনে ওঠা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমরা কিছু ব্যত্যয় লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে টিকিট না কেটে বাসে ওঠার প্রবণতা। সেটা কোনোভাবেই ঢাকা নগর পরিবহনে বরদাশত করা হবে না। সবাইকে টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: দিন যায় বৈঠক হয়, স্থানান্তর হয় না কারওয়ান বাজার

এমআরটির সঙ্গে সমন্বয় করেই ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন দুই যাত্রাপথ (২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ) চালু করা হবে বলে জানান তিনি। মেয়র তাপস বলেন, এরই মাঝেই এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা নতুন দুটি যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দুটি যাত্রাপথের ব্যাপারে আজকের সভায় আমরা বিশদ আলোচনা, পর্যালোচনা করেছি।

আরও পড়ুন: ঢাকার রাস্তায় দিনে দুইবার পানি ছিটানোর নির্দেশ

তিনি বলেন, ২২ নম্বর যাত্রাপথ যারা পরিচালনা করছেন, তাদের আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দেবো। তারা যেন গাড়িচালকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের যে নিয়ম, যাত্রীছাউনি অথবা বাস-বে থেকে টিকিট কিনেই যেন যাত্রীরা বাসে ওঠেন। সে অনুযায়ী নগর পরিবহন যাত্রীদের সেবা দেবে। সেটা আজকের এই সভা থেকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।

আরও পড়ুন: হকাররা হলুদ-সবুজ চিহ্নিত এলাকায় ব্যবসা করতে পারবেন: তাপস

নগর পরিবহনে যাত্রীসেবার মান অক্ষুণ্ন রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলাপ করেছি। বিআরটিসি আমাদের নিশ্চিত করেছে- ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য যে নির্দিষ্ট বাস, সেটা শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। আর ট্রান্সসিলভাকে আমরা কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেবো। সেজন্য তাদের ১৫ দিন সময় দেবো। তারা যদি নির্ধারিত নীতিমালা-নিয়ম অনুযায়ী এই সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করবো। বিআরটিসি যদি রাজি হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি দ্বারাই পরিচালিত হবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করবো।

এমএমএ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।