রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বেলজিয়ামের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশ আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনকভাবে নিজ দেশে ফিরতে পারে সেজন্য বেলজিয়াম সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা সফররত বেলজিয়ামের রানি এবং জাতিসংঘের এসডিজি বিষয়ক বিশেষ দূত ম্যাথিল্ড ম্যারি ক্রিস্টিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।

রানিকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী ইউরোপের দেশগুলোর অন্যতম হচ্ছে বেলজিয়াম। তারপর থেকে বেলজিয়াম বাংলাদেশকে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ সহযোগিতা দিন দিন বাড়ছে।

আরও পড়ুন: বেলজিয়ামের রানির সফর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এসময়ের মধ্যে দুদেশের চলমান সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং এটাকে আরও উচ্চতায় নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে রানিকে বলেন, বাংলাদেশে বিগত পাঁচ বছর ধরে মিয়ানমারের ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা। অথচ এই পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত যাননি।

রাষ্ট্রপ্রধান রোহিঙ্গারা যেন সম্মানজনকভাবে তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারে সেজন্য বেলজিয়ামসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নিপীড়নের কাহিনি শুনলেন বেলজিয়ামের রানি

বৈঠকে রানি ম্যাথিল্ড ম্যারি ক্রিস্টিন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।

এসময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভান্ডারহাসেল্ট, বঙ্গভবনের সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসইউজে/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।