সীতাকুণ্ডে আগুন
১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখন ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী।
শনিবার রাত ১০টায় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এখন সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর চারটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি এয়ারফোর্সের টিমও রিপোর্ট করেছে। তাদের দুটি ইউনিটও কাজ করবে।

আরও পড়ুন: ‘গাঁজা সেবন করে’ এক রাতে ১৭ খড়ের গাদায় আগুন
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকার নেমসন কনটেইনার ডিপোর পাশে অবস্থিত ওই তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই গোডাউনে ২৭শ টন তুলা ছিল।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ১০ সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জমানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
কমিটিতে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বদিউল আলমকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তা, শিল্প পুলিশের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস, কলখানার ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, সীতাকুণ্ডের ইউএনও, থানার ওসি, বিটিএমসি’র প্রতিনিধি, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

আরও পড়ুন: কোন আগুন কীভাবে নেভাতে হয়?
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ‘এসএল’ গ্রুপের মালিকানাধীন ‘ইউনিটেক্স গ্রুপ’র ভাড়ায় নেওয়া ওই তুলার গোডাউনে আগুন লাগে। এসএল গ্রুপ গত এক সপ্তাহ ধরে গোডাউনটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছিল। ওয়েল্ডিংয়ের স্ফুলিঙ্গ থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের ধারণা।
কুমিরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার সুলতান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, সন্ধ্যার পর পানির অভাবে আগুন নির্বাপণে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে পরে আরও একটি জলাশয় খুঁজে বের করা হয়েছে। সেখানে পাম্প লাগানো হয়। এখন স্বাভাবিক কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে।
ইকবাল হোসেন/জেডএইচ/