বইপড়া কর্মসূচিতে বিজয়ীদের পুরস্কার দিলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচিতে বিজয়ী পাঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের সেরা ১৩ কলেজ ও কেন্দ্রভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচি মিলিয়ে ২৬৬ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মে) বেলা ১১টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সরোয়ার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সরোয়ার পুরস্কার বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, বই তোমাকে মানুষ চিনতে, সমাজ চিনতে সহায়তা করবে। তোমাদের চিন্তা উন্নত হলেই আগামী দিনের বাংলাদেশ সমৃদ্ধ ও উন্নত হবে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া, আমরা যে সুযোগ পাইনি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তোমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগকে তোমরা কাজে লাগাও, বেশি বেশি করে বই পড়ো। তোমাদের মাধ্যমেই আগামী বাংলাদেশ আলোকিত হবে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের জ্ঞান-পিপাসা বাড়াতে হবে। এ পিপাসা মেটানোর চেষ্টা করতে হবে, যা মাধ্যম হলো বই। পৃথিবীতে যা কিছু বড়, শ্রেষ্ঠ তার সবই পাবে বইয়ের মধ্যে। নিজেদের জ্ঞানকে বাড়ানোর জন্য বইপড়ার কোনো বিকল্প নেই।
একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলা সাহিত্য ও পৃথিবীর কিশোর সাহিত্যের সেরা ১২টি বই পড়ার সুযোগ পাবে। একটি ছোট্ট ও সরস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বইপাঠ মূল্যায়ন করে পঠিত বইয়ের ওপর ভিত্তি করে চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নিবার্চন করা হয়।
মূল্যায়ন পর্বে যারা ছয়টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে স্বাগত পুরস্কার। যারা আটটি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে শুভেচ্ছা পুরস্কার। যারা ১০টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে অভিনন্দন পুরস্কার। আর যারা ১২টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে সেরা পাঠক পুরস্কার।
এএএইচ/এএসএম