কড়াইল বস্তির দোকানে বিক্রি হতো বিদেশি মদ, কারবারি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ২৬ মে ২০২৩

রাজধানীর কড়াইল বস্তির একটি দোকান থেকে ৫৬ বোতল অবৈধ বিদেশি মদসহ মনির হোসেন নামের এক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ মে) সকালে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, গ্রেফতার মনির দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বিদেশি মদ সরবরাহ করে আসছিলেন। বিভিন্ন কৌশলে মাদক কারবার করে আসছিলেন মনির। বেশ কিছুদিন ধরে তার কার্যক্রম ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে, মনির বিমানবন্দরকেন্দ্রিক একটি চক্রের কাছ থেকে অবৈধ বিদেশি মদ সংগ্রহ করে গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করবেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গুলশান সার্কেলের একটি টিম তার গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনিরকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।

সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান আরও বলেন, কড়াইল বস্তির টিঅ্যান্ডটি কলোনির (এরশাদ মাঠ) কবরস্থান সড়কে মিম ফ্যাশন গ্যালারি নামের দোকানটি মনির হোসেনের। তার দোকান তল্লাশি করে ৫৬ বোতল অবৈধ বিদেশি মদের বোতল পাওয়া যায়। প্রতিটি এক লিটারের। এরমধ্যে রয়েছে চিভাস-১২ হুইস্কি ২৮ বোতল, ট্রাভেলাস ক্লাব হুইস্কি ৮ বোতল, ব্ল্যাক লেভেল হুইস্কি ১৯ বোতল ও ভ্যাট-৬৯ লেভেল হুইস্কি ১ বোতল। মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল জাগো নিউজকে বলেন, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, ইয়াবা, এলএসডি, ডিওবিসহ অন্যান্য ক্ষতিকর মাদকের পাশাপাশি অবৈধ বিদেশি মদ চোরাচালানের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ওপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

টিটি/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।