বন্ধুর জীবনবৃত্তান্তে ছবি বসিয়ে চাকরি, ১৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫)। নাম পরিচয় গোপন করে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক স্কুল সহপাঠীর শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং বায়োডাটা কৌশলে সংগ্রহ করে সেখানে নিজের ছবি যুক্ত করে বনে যান মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে। ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের অফিসার (সেলস অ্যান্ড বিপণন) পদে নিয়োগও পান তিনি। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ।
তিনি জানান, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের ৯ মে পর্যন্ত তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পানিতে অফিসার (সেলস অ্যা ন্ড বিপণন) পদে কর্মরত ছিলেন মো. হেলাল উদ্দিন। কোম্পানিটিতে নিজের প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন করে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং বায়োডাটায় মো. হেলাল উদ্দিন তার নিজের ছবি যুক্ত করে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের অফিসার (সেলস অ্যান্ড বিপণন) পদে নিয়োগ পান।
আরও পড়ুন: ইমাম-হাফেজ পরিচয়ে প্রতারণা, মাসে আয় লাখ লাখ টাকা
মো. জাহাঙ্গীর আলমের নাম ধারণ করেই কোম্পানিটিতে কাজ করে আসছিলেন তিনি। এ সময় হেলাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে মোট ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে অফিসে জমা না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ২০২১ সালেই মামলা করেন।
মামলার তদন্তের বিষয়ে পিবিআই জানায়, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখা যায়, যার কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে তিনি প্রকৃতপক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং হেলাল উদ্দিনের স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিল। তিনি বর্তমানে ভোলার চর মোতাহার আলিম মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরি করছেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে খোয়া যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা
পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করার সুবাদে কৌশলে মো. হেলাল উদ্দিন তার বন্ধু মো. জাহাঙ্গীর আলমের অজ্ঞাতে তার শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ, ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র ও বায়োডাটার ফটোকপি সংগ্রহ করেন। সেই কাগজ দিয়ে প্রথমে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কোম্পানিতে এবং পরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পাসিসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে আসছিলেন।
আসামির বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকরি করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার (৭ জুন) রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
আরএসএম/এমআরএম/জেআইএম