যেখানে তথ্যভান্ডার সেখানেই সাইবার হামলার ঝুঁকি: ইসি সচিব
যেখানে তথ্যভান্ডার সেখানেই সাইবার হামলার ঝুঁকি থাকে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ইসি সচিব বলেন, সার্ভার কখনো সাটডাউন হয়ে যায়, কখনো করতে হয়। এটা আগাম জানানো সম্ভব হয় না। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যে কোনো সময় সাটডাউন হতে পারে। যেখানে তথ্যভান্ডার সেখানেই সাইবার হামলার ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি থাকে বলেই সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ টিআইবির
অনেক সেবাগ্রহীতা থাকায় কোনো আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাটাবেজে ঝুঁকি তো থাকবেই। এটা আসলে করার কিছু নেই। আগে বুঝতে হবে বিপদ বা রেগুলার রক্ষণাবেক্ষণ, এজাতীয় বিষয়গুলোতে ঝুঁকি সবসময় থাকে। যখন যে পরিস্থিতি আসবে সে অনুযায়ী প্রতিরক্ষা করতে হবে। একটা ব্যাংকের যেমন যে কোনো সময় ঝুঁকি থাকে, তেমনই আমাদের এত বড় ডাটাবেজেও ঝুঁকি আছে।
তিনি আরও বলেন, এটা (ডাটাবেজ) মূল্যবান একটা সম্পদ। এটা প্রতিনয়ত আপডেট করা হচ্ছে, যা গতানুগতিক কাজ। একদিন-দুদিনের জন্য সার্ভার অফ সারা দুনিয়াতেই হয়।
নতুন আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের বিষয়টি নতুন আইনে দেওয়া আছে। সরকার গেজেট দিয়ে এটি কার্যকরের তারিখ নির্ধারণ করলেই তা কার্যকর করা হবে। যতক্ষণ আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এনআইডি কার্যক্রম যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। এ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, নতুন আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যতদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রস্তুতি (দপ্তর ও জনবল) সম্পন্ন করে তারিখ নির্ধারণ না করবে ততদিন ইসিই এ কাজ পরিচালনা করবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখি না।
আরও পড়ুন: এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে আসতে সময় লাগবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, রাষ্ট্রই ইসিকে এনআইডির দায়িত্ব দিয়েছিল। আবার আইন করে নিয়েও যাচ্ছে। আইনের পর বিধি হবে। এরপর অফিস ও জনবল নিয়োগ করতে হবে। এরপর এনআইডি নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইএইচআর/এমকেআর/এমএস